ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে দুই শহীদ স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন

গেল বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শহীদ হন আজাদ সরকার ও ফরিদগঞ্জে শহীদ হন শাহাদাত হোসেন। এই দুই শহীদের স্মরণে পৃথক দুটি নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়ছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় এলাকায় শহীদ আজাদ সরকার স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক, শহীদ আজাদের ছেলে আহমেদ কবির হিমেল সরকার, স্থানীয় যুবদল নেতা মিজানসহ এলাকাবাসী।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন বলেন, আজাদের মতো প্রতিবাদী মানুষদের স্মৃতি জাতির চেতনায় বাঁচিয়ে রাখা উচিত। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একটি আদর্শের প্রতীক।

শহীদের ছেলে হিমেল সরকার বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও আজ তাঁর আত্মত্যাগ স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পরিবারের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

এদিকে একই সময়ে শাহীদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে অপর স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর এম জাহিদ হাসান, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, শহীদ শাহাদাতের মা শিরোতাজ বেগম ও নানি মমতাজ বেগমসহ স্থানীয় লোকজন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমরা আজ শহীদ শাহাদাত হোসেনের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস গ্রহণ করেছি। শহীদরা জাতির বাতিঘর। তাঁদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। শহীদ শাহাদাত হোসেন আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তাঁর এই আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে পারলেই আমাদের এই প্রয়াস সার্থক হবে।

অনুষ্ঠানটি এক আবেগঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের মা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আশা করি আমার ছেলের আত্মত্যাগ কেউ ভুলে যাবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

চাঁদপুরে দুই শহীদ স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন

Update Time : ১১:০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

গেল বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শহীদ হন আজাদ সরকার ও ফরিদগঞ্জে শহীদ হন শাহাদাত হোসেন। এই দুই শহীদের স্মরণে পৃথক দুটি নির্মিত স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়ছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার টোরাগড় এলাকায় শহীদ আজাদ সরকার স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক, শহীদ আজাদের ছেলে আহমেদ কবির হিমেল সরকার, স্থানীয় যুবদল নেতা মিজানসহ এলাকাবাসী।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জাহিদ হোসেন বলেন, আজাদের মতো প্রতিবাদী মানুষদের স্মৃতি জাতির চেতনায় বাঁচিয়ে রাখা উচিত। তিনি শুধু একজন ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একটি আদর্শের প্রতীক।

শহীদের ছেলে হিমেল সরকার বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও আজ তাঁর আত্মত্যাগ স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের পরিবারের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

এদিকে একই সময়ে শাহীদ শাহাদাত হোসেন স্মরণে ফরিদগঞ্জ থানা মোড়ে অপর স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর এম জাহিদ হাসান, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান, শহীদ শাহাদাতের মা শিরোতাজ বেগম ও নানি মমতাজ বেগমসহ স্থানীয় লোকজন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, আমরা আজ শহীদ শাহাদাত হোসেনের স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস গ্রহণ করেছি। শহীদরা জাতির বাতিঘর। তাঁদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। শহীদ শাহাদাত হোসেন আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তাঁর এই আত্মত্যাগের মর্যাদা দিতে পারলেই আমাদের এই প্রয়াস সার্থক হবে।

অনুষ্ঠানটি এক আবেগঘন পরিবেশে সম্পন্ন হয়। শাহাদাতের মা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আজকের এই দিনটি আমাদের জীবনের এক স্মরণীয় দিন। আশা করি আমার ছেলের আত্মত্যাগ কেউ ভুলে যাবে না।