রাস্তা না থাকায় দূষিত ময়লা পানি ও কাদামাটি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া ভূঁইয়া বাড়ির ১৬২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এমন দুর্ভোগ দেখেও না দেখার ভান করে আছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা। এ রাস্তা দিয়ে ওই গ্রামের শতশত লোকজন মসজিদ, মাদ্রাসা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। ছোট রাস্তার দুই পাশে বেদখল করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করেছেন স্থানীয় লোকজন। একটু বৃষ্টি হলে রাস্তাটি পানিতে ডুবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সেঙ্গুয়া ভূঁইয়া বাড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাগরিকা জানান, ২০১৩ সালে এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা চলাচলের রাস্তা তেমন না থাকায় চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ৪জন শিক্ষক ও ২১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে পানি ও কাদামাটি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হয় শিক্ষার্থীদের । কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ও আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। রাস্তাটির দ্রুত মেরামত ও সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান,বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে কোন অবকাঠামোর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সঙ্গুয়া ভূঁইয়া বাড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গায় রয়েছে পুকুর ও খাল। বিদ্যালয় একটি একতলা একাডেমিক ভবনে শ্রেণীকক্ষের সংকট রয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান করতে গেলে বিদ্যালয়ের ভবনের বারিন্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ।
অন্যদিকে বিদ্যালয়ের থেকে নামলে পুকুর ও খাল, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করে আসছেন। যেকোনো মুহূর্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, ১৬২ নং সেঙ্গুয়া ভূঁইয়া বাড়ির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচলের রাস্তাটি তেমন না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি পরিদর্শন করে আসছি। আমি পরিষদ থেকে রাস্তাটি মেরামত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।