ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ব বিরোধের জেরে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবেশীকে স্বপরিবারে হত্যার চেষ্টা : থানায় অভিযোগ দায়ের 

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দক্ষিণ সাহেবপাড়ার ৭৭০/১৬/২ নার্সারি রোডে মঞ্জির আহম্মদ, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও তাদের শিশু সন্তানকে পূর্ব বিরোধের জেরে একই ভবনের মোঃ বাচ্চু ফকির (৪০), জাহিদ হাসান (১৯), বিল্লাল হোসেন (৪২), জাহাঙ্গীর কবির (৫০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬জন দলবদ্ধ হয়ে ১৯  সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
মঞ্জির আহমেদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যৌথভাবে বিগত সাড়ে চার বছর পূর্বে ৯জন মিলে একটি সাত তলা বিশিষ্ট্য ১৮টি এপ্যার্টমেন্ট নিমার্ন করে বসবাস শুরু করি। বিবাদীরা ঝগরাটে, হিংসুটে, মিথ্যাবাদী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও অসভ্য প্রকৃতির। বিবাদীরা যৌথ বাড়ীর কোন নিয়ম নীতি মানে না, বাড়ীতে সিন্ডিকেট করে যা ইচ্ছে তাই করে। বিবাদীরা বাড়ীতে যৌথ মহড়ার মাধ্যমে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ভয় দেখায়। বিবাদীরা বাড়ীর অন্য মালিকসহ ভাড়াটিয়াদের ছাদে উঠতে দেয় না কথায় কথায় বাড়ীর ফ্লাট মালিকসহ ভাড়াটিদের সাথে খারাপ ভাষায় গাল মন্দ সহ মারমুখি আচরণ করে বাচ্চু ও জাহিদ কিছু দিন পূর্বে তুচ্ছ বিষয়ের মনমালিন্য, ঝগড়া বিবাদের জেরে আমাকে ছাদে নিয়া ছাদ হইতে ফেলে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি তাদের আচরণে বিষয়টি বুঝতে পেরে তৎক্ষনাত দৌড়াইয়া চলে আসি। এরই ধারাবাহিকতায় বাচ্চু ও জাহিদ  ২৩ জুলাই  দুপুর বেলায় তাদের ছোট বাচ্চা দিয়ে একাধিকবার কলিং বেল চাপিয়া আমাকে বিরক্ত করায়। এসময় আমি বাচ্চাদের কলিংবেল টিপতে না করে বুঝিয়ে তাদের বাসায় পাঠাইয়া দেই। এর কিছুক্ষন পর আমার অজ্ঞাতসারে ১নং ও ২নং বিবাদী কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া উক্ত জেরেই আমার রুমের সামনে আসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে একপর্যায়ে বিবাদী আমার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। আমি বিবাদীদের হিংস্রাত্বক মনোভাবে পরিস্থিতি বেঘতিক বুঝে রুমে চলে যাই।
এসময় আমি আমার স্ত্রীর মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এরই জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বিবাদীরা যোগসাজসে আমার বাসায় এসে আমার বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমার বাসার সকল সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। উক্ত কাজ করে বিবাদীরা আমার বাসায় ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গাল মন্দ করিতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী আমাকে লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। উক্ত সময় ২-৪নং বিবাদী যোগসাজসে আমাকে এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মেরে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। একপযায়ে ৩নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় চাপিয়া ধরে। এসময় আমার স্ত্রী আগাইয়া আসলে বিবাদীরা আমার স্ত্রীকেও এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মেরে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। উক্ত বিষয়াদি আমার নাবালিকা মেয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারন করলে ১নং বিবাদী আমার মেয়ের হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া আমার মেয়ের গলায় চাপিয়া ধরে। উক্ত সময় আমার ও আমার স্ত্রী সন্তানের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া উক্ত স্থান থেকে উদ্ধার করে।
নাসরিন আক্তার বলেন, বাড়ি করার পর থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। একাধিকবার আমার পরিবারের উপর হামলা করে আহত করেছে।
অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলবে পশ্চিম নাগদা মুন্সিবাড়িতে দুইদিন ব্যাপী বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

পূর্ব বিরোধের জেরে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবেশীকে স্বপরিবারে হত্যার চেষ্টা : থানায় অভিযোগ দায়ের 

Update Time : ০৭:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দক্ষিণ সাহেবপাড়ার ৭৭০/১৬/২ নার্সারি রোডে মঞ্জির আহম্মদ, তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ও তাদের শিশু সন্তানকে পূর্ব বিরোধের জেরে একই ভবনের মোঃ বাচ্চু ফকির (৪০), জাহিদ হাসান (১৯), বিল্লাল হোসেন (৪২), জাহাঙ্গীর কবির (৫০) সহ অজ্ঞাত ৫/৬জন দলবদ্ধ হয়ে ১৯  সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে মারধর করে গুরুতর আহত করে।
মঞ্জির আহমেদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যৌথভাবে বিগত সাড়ে চার বছর পূর্বে ৯জন মিলে একটি সাত তলা বিশিষ্ট্য ১৮টি এপ্যার্টমেন্ট নিমার্ন করে বসবাস শুরু করি। বিবাদীরা ঝগরাটে, হিংসুটে, মিথ্যাবাদী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও অসভ্য প্রকৃতির। বিবাদীরা যৌথ বাড়ীর কোন নিয়ম নীতি মানে না, বাড়ীতে সিন্ডিকেট করে যা ইচ্ছে তাই করে। বিবাদীরা বাড়ীতে যৌথ মহড়ার মাধ্যমে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে ভয় দেখায়। বিবাদীরা বাড়ীর অন্য মালিকসহ ভাড়াটিয়াদের ছাদে উঠতে দেয় না কথায় কথায় বাড়ীর ফ্লাট মালিকসহ ভাড়াটিদের সাথে খারাপ ভাষায় গাল মন্দ সহ মারমুখি আচরণ করে বাচ্চু ও জাহিদ কিছু দিন পূর্বে তুচ্ছ বিষয়ের মনমালিন্য, ঝগড়া বিবাদের জেরে আমাকে ছাদে নিয়া ছাদ হইতে ফেলে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি তাদের আচরণে বিষয়টি বুঝতে পেরে তৎক্ষনাত দৌড়াইয়া চলে আসি। এরই ধারাবাহিকতায় বাচ্চু ও জাহিদ  ২৩ জুলাই  দুপুর বেলায় তাদের ছোট বাচ্চা দিয়ে একাধিকবার কলিং বেল চাপিয়া আমাকে বিরক্ত করায়। এসময় আমি বাচ্চাদের কলিংবেল টিপতে না করে বুঝিয়ে তাদের বাসায় পাঠাইয়া দেই। এর কিছুক্ষন পর আমার অজ্ঞাতসারে ১নং ও ২নং বিবাদী কোন কথা জিজ্ঞাসা না করিয়া উক্ত জেরেই আমার রুমের সামনে আসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে একপর্যায়ে বিবাদী আমার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। আমি বিবাদীদের হিংস্রাত্বক মনোভাবে পরিস্থিতি বেঘতিক বুঝে রুমে চলে যাই।
এসময় আমি আমার স্ত্রীর মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করি। এরই জেরে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বিবাদীরা যোগসাজসে আমার বাসায় এসে আমার বাসার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আমার বাসার সকল সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে। উক্ত কাজ করে বিবাদীরা আমার বাসায় ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গাল মন্দ করিতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী আমাকে লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়। উক্ত সময় ২-৪নং বিবাদী যোগসাজসে আমাকে এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মেরে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। একপযায়ে ৩নং বিবাদী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় চাপিয়া ধরে। এসময় আমার স্ত্রী আগাইয়া আসলে বিবাদীরা আমার স্ত্রীকেও এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মেরে শরিরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। উক্ত বিষয়াদি আমার নাবালিকা মেয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিও ধারন করলে ১নং বিবাদী আমার মেয়ের হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনাইয়া নিয়া আমার মেয়ের গলায় চাপিয়া ধরে। উক্ত সময় আমার ও আমার স্ত্রী সন্তানের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিয়া উক্ত স্থান থেকে উদ্ধার করে।
নাসরিন আক্তার বলেন, বাড়ি করার পর থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। একাধিকবার আমার পরিবারের উপর হামলা করে আহত করেছে।
অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।