চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মব সৃষ্টি করে জায়গা দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠে স্থানীয় লালন খান ও মজিব খান গংদের বিরুদ্ধে। ঐ সসয় শতাধিক গাছ কর্তন করে বাড়ীর বেড়া ভাংচুর ও নারকেল গাছের নারকেল লুট করে নিয়ে যায় তারা।
গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর, দুপুরে ঘটিকার হাজিগঞ্জ উপজেলার ৪ নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের খান বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় মব সৃষ্টি করে একই বাড়ীর লালন খান ও মজিব খান নেতৃত্বে দেশী অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় অজ্ঞাত প্রায় ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী এসে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন জাতের গাছ কর্তন ও নারকেল গাছ থেকে প্রায় কয়েকশত নারকেল লুট করে নেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ, মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস, মিজানুর রহমান জানায় শুক্রবার জুমার নামাজের পরে হঠাৎ করে করে প্রায় অর্ধশত লোক নিয়ে লালন খান ও মজিব খানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল মন্দ করে ভাংচুর ও গাছগুলো কেটে ফেলে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান প্রতিপক্ষ অত্যন্ত দুষ্ট প্রকৃতির জালিয়াত, অত্যাচারী, জুলুমবাজ তারা। প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের পূর্বে কোন শত্রুতা নেই। আমাদের বাড়ীর সম্পত্তি প্রতিপক্ষের পূর্ব পুরুষের সাথে আমাদের পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি এজবদল পরবর্তী আমরা পূর্ব পুরুষগণ উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল করে বসবাস করছি।
প্রতিপক্ষগণ পূর্বে কখনোই উক্ত সম্পত্তির বিষয়ে কখনও বিরোধ সৃষ্টি হয়নি, মূলত তাহারা আমাদের পূর্ব পুরুষ হইতে এজবদলকৃত সম্পত্তি ভোগ দখল করে বসবাস করছে।
গত শুক্রবার হঠাৎ লালন খান ও মজিব খান গংদের লোকজন আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে আমাদের রোপনকৃত কিছু ফলজ ও বনজ গাছ কাটিয়া আমাদের প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।
ভুক্তভোগী আব্দুল লতিফ, মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস, মিজানুর রহমান জানায় আরো জানান, প্রতিপক্ষরা আমাদের পূর্ব পুরুষদের সাথে এজবদলকৃত সম্পত্তি ভাগ-ভাটরা মানে না, তাই তারা তাদের সম্পত্তি দাবি করে আমাদের অলি ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তির উপর আসলে আমাদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। বর্তমানে আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মিজান বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং ভুক্তভোগীরা নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
এই ঘটনায় বাড়ির লোক আক্তার হোসেন খান, মোঃ মোবারক হোসেন, আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া জানান, অন্যায় ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে লালন খান ও মজিব খান গংরা।
থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।
হামলা, গাছ কর্তন, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে অভিযুক্ত লালন খানকে ফোন করলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন।