কচুয়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের নাহারা গ্রামে জমিজমা বিরোধের জের ধরে খোরশিদা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ মহিলার উপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার সকালে ওই গ্রামের মোল্লা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আয়েত আলীর স্ত্রী খোরশিদা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে খোরশিদা বেগম জানান, আমার ভাশুর মৃত রোস্তম আলী ছেলে ইলিয়াছ,সাব্বির হোসেন গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। জমিজমা নিয়ে চাঁদপুর আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। গত বুধবার ৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় বিবাদী ইলিয়াছ মোল্লা, সাব্বির মোল্লা, আব্দুল হাই, ফয়সাল, মহিন উদ্দিন,ফাতেমা বেগম ও হাজেরা বেগমসহ দলবল মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসতবাড়িতে এসে বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করেন। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে এলোপাথারি ভাবে কিলঘুষি লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করেন। আমার ছেলের বউ আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাহার পড়নের কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করিয়া শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে তার সাথে থাকা মোবাইল ও স্বর্ণের গলায় চেইন ছিঁড়ে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকার শুনে স্বাক্ষীগনসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি প্রদান বিবাদীরা দলবল নিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো জানান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিলে আমার ছেলে সন্তানসহ পরিবারের সকল লোকজনকে প্রাণনাশের প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে আসছেন। আমার পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
বাদী খোরশিদা বেগমের ছেলে আল আমিন সাংবাদিকদেরকে জানান, আমার জ্যাঠা মৃত রোস্তম আলী জীবিত থাকা অবস্থায় আমার বাবার সম্পত্তি অংশের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ জমি বিক্রি করে ফেলে। পরবর্তীতে আমার জ্যাঠা ওই ২০ শতাংশ জমি না দিতে পেরে বাড়ির পাশে ৯ শতাংশ একটি ডোবা আমার বাবাকে দিয়ে দেন । ওই ৯ শতাংশ জায়গায় আমরা ২৫ বছর ভোগদখল আসছি। জায়গার খারিজসহ সকল সঠিক কাগজপত্র আমাদের কাছে রয়েছে। বিবাদী ইলিয়াস ও সাব্বির গংরা এই জায়গায় তারা দাবি করে একাধিকবার আদালতে মামলা দায়ের করলেও আমাদের সঠিক কাগজপত্র থাকায় আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন। গত বুধবার সকালে আমরা পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় ওই সুযোগে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও আমার বৃদ্ধ মায়ের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করেন।
বিবাদী ইলিয়াস মোল্লা বলেন,আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির উপর আল-আমিন গংরা বেড়া ও ঘর নির্মাণ করেছে,তাই আমরা বাধা প্রদান করেছি।