চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের চুরিরকাঘাতে বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র তাফসীর মিজি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কথাকাটাকাটির জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাফসীরের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা হলেন, উত্তর মৈশাদীর ডাক্তার বাড়ীর মিন্টুর ছেলে সবুজ(১৯), শিলন্দিয়া পাটওয়ারীর গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীর ছেলে শান্ত(২১), চেয়ারম্যানঘাটের মেহেদী(১৯),আশিকাটির স্থায়ী ও নাজিরপাড়ার অস্থায়ী বাসিন্দা আইয়ুব খানের ছেলে নাজমুল খান(২৪), খলিশাডুলী পাটওয়ারী বাড়ীর শাহজাহানের ছেলে সজীব (১৯)সহ আরো ৭/৮ জনের গ্যাং।
এসব নাম ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আহত তাফসীরের পিতা মনির হোসেন মিজি।
অভিযোগদাতা মনির বলেন, আমার স্কুল ছাত্র ছেলেকে হত্যা করতে সবুজসহ তার দলবল প্রথমে মুখসহ কান পর্যন্ত খুর দিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এরপর শান্ত নামে আরেক সন্ত্রাসী চাপাতি দিয়ে তার মাথায় কোপ দেয়। একই স্থানে মেহেদী তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়। এরপর নাজমুলও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কানে কোপ দেয়। এরপর তাদের সহযোগীরা লোহার রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে তাফসীরকে মেরে ফেলে রেখে তার ৩২ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহয়তায় আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লাগছে। আমি এই সন্ত্রাসীদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি দিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে সবুজ গ্যাং কারোরি বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহতদের শারিরীক অবস্থা প্রসঙ্গে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, তাফসীর নামক ওই রোগীর মাথা, গাল, পেটসহ নানা স্থানে আমরা সেলাই করে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছি। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে সময় লাগবে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, তাফসীর মিজিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি দায়ের সম্পন্ন হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।