• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ পোস্ট মাস্টার হলেন হাজীগঞ্জের খোরশেদ আলম ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে বিয়ে করবেন মডেল প্রিয়াঙ্কা হাজীগঞ্জে নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হচ্ছে দুর্গোৎসব হাজীগঞ্জের মনিনাগে সম্পতিগত বিরোধের জেরধরে হামলা, ৮জন আহত ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে’ মতলব উত্তরে ১০ম গ্রেডের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ শাহরাস্তিতে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে রবি শস্য বীজ ও নগদ অর্থ প্রদান শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা ফরিদগঞ্জে শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪

এবার প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে আসলেন জার্মান তরুণী

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩
মারিয়া-আব্রাহাম।

ভালোবাসার টানে সুদূর জার্মান থেকে ছুটে এসে সিলেটের আব্রাহাম হাসান নাঈমকে বিয়ে করেছেন মারিয়া নামে এক তরুণী। জানাশোনা থাকায় সিলেটে এসেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আব্রাহাম বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে। মারিয়াকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে অনুষ্ঠানে রাখা হয় বাঙালি ঐতিহ্য। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মুসলিম রীতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। রাজসিক এ বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরো গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহামের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের বিষয়টি জানান পরিবারকে। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার। প্রথমে মারিয়া নাঈমকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে গত ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন এই তরুণী।

আব্রাহাম হাসান নাঈম বলেন, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয়। এরপর থেকে তাদের ফোনে আলাপ শুরু। এভাবে কয়েকমাস যেতে আমরা একে অন্যকে পছন্দ করি। সেই থেকে শুরু হয় আমাদের প্রেম। মারিয়া বাঙালিয়ানাকে খুব বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে গ্রামীণ পরিবেশ তাকে খুবই আকৃষ্ট করে। প্রথমে মারিয়া আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে জার্মানিতে যাওয়ার কথা বলে। কিন্তু আমি এতে সাড়া দেইনি। এরপর তাকে বাংলাদেশে আসার কথা জানালে সে রাজি হয় এবং দেশে চলে আসে।

আব্রাহামের ভাই আবদুল বাতিন বলেন, মারিয়া নাঈমকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। তাদের মধ্যে অনেকদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টা পরিবারের সবারই জানা। মারিয়া প্রেমের টানে জার্মানি থেকে বাংলাদেশে চলে আসবেন তা কল্পনা করা যায়নি। তাদের দুজনের ভালোবাসা দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ। মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগির জার্মান থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।

শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, মারিয়া ও নাঈমের এমন বিয়ে দেখে আমরা আনন্দিত। জার্মান কন্যা আমাদের গ্রামের বধূ এই কথা ভাবতে ভালো লাগে। মারিয়াকে বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখেছি খুব হাস্যোজ্জ্বল তরুণী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১