চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে সদর উপজেলার নিজগাছতলা এলাকায় আনন্দ পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত এবং শিশুসহ ৬ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তি পুরুষ। বয়স আনুমানিক (৩০)। তবে তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরনে প্যান্ট ও শার্ট ছিল।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) আনুমানিক বেলা সোয়া ২টার দিকে নিজ গাছতলা কাদির গাজীর মার্কেটের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
আহতদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরকাজিয়া গ্রামের মীর মাঝির ছেলে আবদুল মাজেদ মাঝি (৬০), রায়পুরের অটোরিকশা চালক মো. আলাউদ্দিন (৩৫) ও অজ্ঞাতনামা আরেকজন পুরুষ যাত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
এছাড়া অন্য আহতরা হলেন-অজ্ঞাতনামা আরেক যাত্রী, আহত মাজেদ মাঝির স্ত্রী পেয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের সঙ্গে থাকা ৪ বছর বয়সী শিশু। তবে শিশুটির বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি বলে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, জুমআর নামাজের শেষে দুর্ঘটনায় ঘটে। আনন্দ পরিবহনের বাসটি চাঁদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে রায়পুরের উদ্দেশ্যে এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা রায়পুর থেকে চাঁদপুরে প্রবেশ করার সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বাসটাকে আটক করে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসের সামনের গ্লাস ভাংচুর করে। নিহত ব্যাক্তির পরিচয় কেউ বলতে পারে না। স্থানীয় লোকজন আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে যায়।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রী মাঝে মাঝি, চালক আলাউদ্দিন ও অপর পুরুষ যাত্রীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকীদের চিকিৎসা চলছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, আজ বেলা সোয়া ২টার দিকে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের বাগাদী ইউনিয়নের কাদির মার্কেটের সামনে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে আনন্দ পরিবহনের একটি বাসের সংঘর্ষে ১ জন সিএনজি যাত্রী মারা যায় এবং ৬ জন যাত্রী আহত হয়। বাস-সিএনজি জব্দ আছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে।