ঢাকা 2:52 am, Saturday, 6 September 2025

অবশেষে স্থগিত হলো হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:29:35 am, Sunday, 21 May 2023
  • 22 Time View

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইকবালুজ্জামান ফারুক। শনিবার (২০ মে) দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের একাংশের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে তিনি নির্বাচন স্থগিত করেন।

লিখিত বক্তব্যে ইকবালুজ্জামান ফারুক বলেন, ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার বেলা পৌণে এগারোটার দিকে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিছু উশৃঙ্খল লোক নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে (ব্যবসায়ী সমিতির অফিস) প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। তারা নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য করে ও অফিস দখলে নেয়।

তিনি বলেন, উক্ত পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকায় আমাদের (নির্বাচন কমিশন) দ্বারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে এবং নির্বাচন করারমতো পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে নির্বাচন গ্রহণের বিষয়টি জানানো হবে বলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান।

একই সময়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব মনিরুজ্জামান বাবলু জানান, আমাদের কাছে ১৯ জন প্রার্থীর অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী আপত্তিকর বা ভুয়া ভোটারের কথা উল্লেখ করেন। এই ৫ জনের মধ্যে ৩ জন নির্দিষ্ট করে বেশ কয়েকজন ভোটারের নাম উল্লেখ করে তালিকা দেন। বাকি ২ জন প্রার্থী নির্দিষ্ট কোন তালিকা না দিয়ে ৫/৭’শ ভুয়া ভোটারের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, উল্লেখিত তিনজন প্রার্থী ১০৯জন ভোটারের তালিকা দিয়েছেন। এই ১০৯ জনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। এই ১০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪০ জন ভোটারের নাম ২ বার অন্তভুক্ত হয়েছে। বাকি ৬৯ জনের মধ্যে ৫০ জন দোকান স্থানান্তর হয়েছে। যার কারণে তাদেরকে পূর্বে স্থানে (দোকান) পাওয়া যায়নি। অর্থ্যাৎ তাদের তালিকা ঠিক আছে।

এছাড়া ১৯ জনের দোকানঘর না পাওয়ায় এবং একজন ভোটার স্বেচ্ছায় আবেদন করেছেন তার দোকান নেই। যার ফলে এই ২০ জনের ভোটার হওয়ার বিষয়টি স্থগিত করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সচিব সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. সেলিম মিয়াসহ উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

ফরিদগঞ্জে কচুক্ষেত থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

অবশেষে স্থগিত হলো হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচন

Update Time : 09:29:35 am, Sunday, 21 May 2023

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্:

হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইকবালুজ্জামান ফারুক। শনিবার (২০ মে) দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের একাংশের বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে তিনি নির্বাচন স্থগিত করেন।

লিখিত বক্তব্যে ইকবালুজ্জামান ফারুক বলেন, ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার বেলা পৌণে এগারোটার দিকে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিছু উশৃঙ্খল লোক নিয়ে নির্বাচন কার্যালয়ে (ব্যবসায়ী সমিতির অফিস) প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। তারা নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় ত্যাগ করতে বাধ্য করে ও অফিস দখলে নেয়।

তিনি বলেন, উক্ত পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকায় আমাদের (নির্বাচন কমিশন) দ্বারা নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন কমিশনের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হলো। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে এবং নির্বাচন করারমতো পরিবেশ সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে নির্বাচন গ্রহণের বিষয়টি জানানো হবে বলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান।

একই সময়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব মনিরুজ্জামান বাবলু জানান, আমাদের কাছে ১৯ জন প্রার্থীর অভিযোগ আসে। এর মধ্যে ৫ জন প্রার্থী আপত্তিকর বা ভুয়া ভোটারের কথা উল্লেখ করেন। এই ৫ জনের মধ্যে ৩ জন নির্দিষ্ট করে বেশ কয়েকজন ভোটারের নাম উল্লেখ করে তালিকা দেন। বাকি ২ জন প্রার্থী নির্দিষ্ট কোন তালিকা না দিয়ে ৫/৭’শ ভুয়া ভোটারের কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, উল্লেখিত তিনজন প্রার্থী ১০৯জন ভোটারের তালিকা দিয়েছেন। এই ১০৯ জনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে এবং তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। এই ১০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪০ জন ভোটারের নাম ২ বার অন্তভুক্ত হয়েছে। বাকি ৬৯ জনের মধ্যে ৫০ জন দোকান স্থানান্তর হয়েছে। যার কারণে তাদেরকে পূর্বে স্থানে (দোকান) পাওয়া যায়নি। অর্থ্যাৎ তাদের তালিকা ঠিক আছে।

এছাড়া ১৯ জনের দোকানঘর না পাওয়ায় এবং একজন ভোটার স্বেচ্ছায় আবেদন করেছেন তার দোকান নেই। যার ফলে এই ২০ জনের ভোটার হওয়ার বিষয়টি স্থগিত করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সচিব সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. সেলিম মিয়াসহ উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।