তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর ষড়যন্ত্রের করে আলী আহমেদের বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ১৩ জুন সকাল ৯ টায়ষ শহরের পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের ময়দার মিলের পিছনে মনতাজ মিয়ার পুরোনো বাড়িতে হাফিজ চৌকিদারের ছেলে আলী আহমেদের বসতঘর অল্প জন্য রক্ষা পেয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আলী আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি বেগম দীর্ঘ একমাস পূর্বে এলাকাবাসী পঞ্চায়েতের মাধ্যমে তার বাবা তালাকের কাগজ দিয়ে তাকে নিয়ে চলে যায়।
আলী আহমেদ জানায়, লিপি বেগম আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। মহিম আলী খানের বড় মেয়ে লিপি বেগম আমার বাড়ির পাশে বাড়ি হওয়া বিয়ের পর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে অবহেলা খারাপ আচরণ করে আসছে। বিগত তিন বছরে তার সাথে সংসার করা নিয়ে এলাকাবাসী আঁট দশটি বিচার দরবার করেন। এক পর্য এক মাস আগে লিপিকে জোর করে আমার কাছ থেকে তার বাবা তালাক দিয়ে নিয়ে চলে যায়।
এরপর থেকে লিপি ও তার বাবা আমার সাথে শত্রুতামি করার জন্য বিভিন্ন রকম রাস্তা ফন্দি তৈরি করে। আমার ঘরের সামনে দিয়ে বিভিন্ন উছিলা অজুহাত দিয়ে আমার ক্ষতি করার জন্য চলাফেরা করে আসছে। গত সোমবার লিপি ও তার বাবা আমার মায়ের সাথে লিপির থ্রিপিজ কি লাগিয়ে দিছস বলে, আমার মাকে বিভিন্নভাবে গালমন্দ করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিবে বলেও হুমকি ধামকি দিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে আমি বালুর মাঠ পারহাউজের মোড় নাস্তা করে যাওয়া সময় লিপির বাবা আমাকে পেয়ে বলে আমার মেয়ের থ্রি পিসে কি লাগিয়ে দিয়েছিস। এই বলে আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে।
আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আমি জানাই যে মেয়ে এক মাস আগে আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছেন। আমার সাথে তার কোন দেখা সাক্ষাৎ বা কথাবার্তা নাই। আমি তার থ্রি-পিস পাবো কই এইসব আপনি কি বলছেন। এই কথা বলার পর মহিম আলী খলিফা আরো আমার উপর আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায় আমাকে গালমন্দ করে মারতে এগিয়ে আসলে আশপাশের লোকজন থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
আলী আহমেদ আরো জানান, এরপর প্রতিদিনের ন্যায় কাজের উদ্দেশ্যে আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই আমার কাছে ফোনে খবর আসে আমার ঘরে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে আশপাশের লোকজন আগুন দেখে অল্পতেই নিভিয়ে ফেলে।
খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে নাম না বলা অনিচ্ছুক কয়েকজন আমাকে বলে আগুন লাগার কিছুক্ষণ আগে লিপি এখান দিয়ে গিয়েছিল। সে যাওয়ার পরেই আমরা আপনার দরজায় আগুন দেখতে পাই।
এ বিষয়ে আমি ৯৯৯ এ ফোন করলে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে আমি চাঁদপুর মডেল থানা একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।