যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সারা দেশের মতো হাজীগঞ্জেও মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কুরবানি করেছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই কবরস্থানে ছুটে গেছেন। চিরবিদায় নেওয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানান।
পশু কুরবানির ক্ষেত্রে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ স ম মাহবুব-উল আলম লিপনের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করা হয়েছে। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করেছে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
হাজীগঞ্জে ঈদুল আযহার প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে। এ মসজিদে ঈদের মোট ৩টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
এ মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুর রশিদসহ প্রশাসনের উধর্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও পরের দুই দিনও পশু কুরবানি করার বিধান রয়েছে। সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব হলেও ঈদের আনন্দ থেকে দরিদ্র-দুস্থরাও বঞ্চিত হননি। কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রির সমুদয় অর্থ এবং কুরবানি দেওয়া পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ তাদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়।