হাজীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় ৩৬৩৭ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩২২৯ জন। পাশের হার ৮৮.৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৮ জন, এ গ্রেড ১১৬১ জন, এ মাইনাস ৬৮৭ জন, বি গ্রেড ৫৮৫ জন, সি গ্রেড ৫২২ জন ও ডি গ্রেড ১৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪০৮ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী উপজেলার ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি এবং উপজেলার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে রামচন্দ্রপুর ভুইয়া একাডেমির পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করেছে।
এ বছর উপজেলায় জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০৫ জন। পাশের হার ৯৮.০৮ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮ জন, এ গ্রেড ১১০ জন, এ মাইনাস ৩২ জন, বি গ্রেড ৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭৬ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২৬৭ জন। পাশের হার ৯৬.৭৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন, এ গ্রেড ১২৬ জন, এ মাইনাস ৪৩ জন, বি গ্রেড ২০ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন।
তৃতীয় অবস্থানে মেনাপুর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪২ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৩৩ জন। পাশের হার ৯৩.৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন, এ গ্রেড ২৪ জন, এ মাইনাস ৩৬ জন, বি গ্রেড ৩৪ জন ও সি গ্রেড ২৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন।
যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৬০ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২৩৯ জন। পাশের হার ৯১.৯২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন, এ গ্রেড ৯৫ জন, এ মাইনাস ৫২ জন, বি গ্রেড ৩৭ জন, সি গ্রেড ৩৭ ও ডি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২১ জন।
চতুর্থ অবস্থানে জগন্নাথপুর হাজী এরশাদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬৫ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৪৭ জন। পাশের হার ৮৯.০৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন, এ গ্রেড ৪৫ জন, এ মাইনাস ২৫ জন, বি গ্রেড ২৭ জন, সি গ্রেড ৩৬ ও ডি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৮ জন।
জিপিএ-৫ এর দিক থেকে উপজেলায় পঞ্চম এবং একমাত্র শতভাগ পাশ করা প্রতিষ্ঠান হলো রামচন্দ্রপুর ভুইয়া একাডেমি। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৮ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন, এ গ্রেড ২৭ জন, এ মাইনাস ৩২ জন, বি গ্রেড ২০ জন ও সি গ্রেড ৭ জন।
উপজেলায় ফলাফলের দিকে থেকে সবচে বেশি পিছিয়ে আছে মৈশাইদ পল্লী মঙ্গল এজি উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৩০ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ১৮ জন। পাশের হার ৬০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১ জন, এ মাইনাস ৭ জন, বি গ্রেড ৩ জন ও সি গ্রেড ৭ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১২ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৬১ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৯ জন। পাশের হার ৬৩.৯৩ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১০ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি গ্রেড ১২ জন ও সি গ্রেড ১২ এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন।
ফলাফলে পিছিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রান্ধুনীমূড়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১২৮ জন শিার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৩ জন। পাশের হার ৬৪.৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৬ জন, এ মাইনাস ৯ জন, বি গ্রেড ২০ জন, সি গ্রেড ৪৫ ও ডি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪৫ জন।
জিপিএ-৫ না পাওয়া ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো, সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, বোরখাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, মেনাপুর পীর বাদশা মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়, প্যারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মৈশাইদ পল্লী মঙ্গল এজি উচ্চ বিদ্যালয়।