ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে শেখ রাসেল দিবস পালিত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • ৫৮ Time View

ছবি-ত্রিনদী

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনা সভা, শিশুতোষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন-জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, আজকে শেখ রাসেলে ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে যে প্রতিপাদ্য বিষয়টি রয়েছে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’। আমরা একটু খেয়াল করি চারটি শব্দ ‘দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল আর দুর্জয়’ এই যে শিশু শেখ রাসেল বা একটি শিশুকে চারটি বিশেষণে বিশায়িত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যত শিশু রয়েছে, সব শিশুর মধ্যে উনি শেখ রাসেলের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। এখানে বলা হয়েছে ‘দুর্জয়’। মানে শেখ রাসেল ভাই একটি শিশু এমন প্রতিভার অধিকারী হোক যাকে কোনোভাবেই দমন করা যায় না, সে দুর্জয়ে থাকুক। এরপরে বলা হয়েছে ‘নির্মল নির্ভিক’। যার কোন ভয় নেই। এরপরও সে ‘দীপ্তিময়’। যে হচ্ছে সার্বক্ষণিক আলোর বিচরণ ঘটায়।

ডিসি বলেন, শেখ রাসেল ১১ বছর জীবিত থাকা অবস্থায় জাতির পিতার সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা বিভিন্ন ভিডিও চিত্রে দেখেছি তাঁর যে অংশগ্রহণ কতটা সাবলীল এবং স্মার্টভাবে ছিলেন। তার ভিতরে কোন ভয় বা জড়তা ছিলো না। এ ধরনের গুণ সবার মধ্যে আসলে দেখা যায় না। আমরা অনেকেই বড় হয়েও অনেক সময় অনেক জায়গায় গিয়ে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। আমরা শিশুর রাসেলের চারিত্রিক দিকগুলো যদি বিবেচনা করি তাহলে আমরা এমনটি পাই না। এই বিবেচনায় আমি মনে করি যে প্রতিপাদ্য বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যথার্থই হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে শেখ রাসেল দিবস বিশ্বের যত বঞ্চিত শিশু রয়েছে, তাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সে বঞ্চিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত শিশুদের মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক হোক শেখ রাসেল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাষ্টার ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।

সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন-বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পীযুষ কান্তি বড়ুয়া।

আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে। র‌্যালিটি শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হতে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। পরে স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলে প্রতিকৃতিতে সর্বসাধারণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন

চাঁদপুরে শেখ রাসেল দিবস পালিত

Update Time : ১০:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনা সভা, শিশুতোষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন-জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, আজকে শেখ রাসেলে ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে যে প্রতিপাদ্য বিষয়টি রয়েছে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’। আমরা একটু খেয়াল করি চারটি শব্দ ‘দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল আর দুর্জয়’ এই যে শিশু শেখ রাসেল বা একটি শিশুকে চারটি বিশেষণে বিশায়িত করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যত শিশু রয়েছে, সব শিশুর মধ্যে উনি শেখ রাসেলের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। এখানে বলা হয়েছে ‘দুর্জয়’। মানে শেখ রাসেল ভাই একটি শিশু এমন প্রতিভার অধিকারী হোক যাকে কোনোভাবেই দমন করা যায় না, সে দুর্জয়ে থাকুক। এরপরে বলা হয়েছে ‘নির্মল নির্ভিক’। যার কোন ভয় নেই। এরপরও সে ‘দীপ্তিময়’। যে হচ্ছে সার্বক্ষণিক আলোর বিচরণ ঘটায়।

ডিসি বলেন, শেখ রাসেল ১১ বছর জীবিত থাকা অবস্থায় জাতির পিতার সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা বিভিন্ন ভিডিও চিত্রে দেখেছি তাঁর যে অংশগ্রহণ কতটা সাবলীল এবং স্মার্টভাবে ছিলেন। তার ভিতরে কোন ভয় বা জড়তা ছিলো না। এ ধরনের গুণ সবার মধ্যে আসলে দেখা যায় না। আমরা অনেকেই বড় হয়েও অনেক সময় অনেক জায়গায় গিয়ে একটু বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। আমরা শিশুর রাসেলের চারিত্রিক দিকগুলো যদি বিবেচনা করি তাহলে আমরা এমনটি পাই না। এই বিবেচনায় আমি মনে করি যে প্রতিপাদ্য বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যথার্থই হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি যে শেখ রাসেল দিবস বিশ্বের যত বঞ্চিত শিশু রয়েছে, তাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সে বঞ্চিত মানবাধিকার লঙ্ঘিত শিশুদের মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক হোক শেখ রাসেল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাষ্টার ও পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।

সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন-বিশিষ্ট ছড়াকার ডা. পীযুষ কান্তি বড়ুয়া।

আলোচনা সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে। র‌্যালিটি শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হতে শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়। পরে স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলে প্রতিকৃতিতে সর্বসাধারণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।