চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরায় পৃথক অভিযানে ৮৮ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স। এর মধ্যে নৌ পুলিশ ৭২ জন, সদর উপজেলা টাস্কফোর্স ৫ জন ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স ১১ জনকে আটক করে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নৌ পুলিশ চাঁদপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌ পুলিশের অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নৌ পুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭২জন জেলেকে আটক করেন। এর মধ্যে ১৭জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১০জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বাকী ৪৫ জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। এসব ঘটনায় দুটি ভ্রাম্যমান আদালত ও ১৪টি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অভিযানে জব্দকৃত ৬৭২ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরীবদের মাঝে বিতরণ, ৫ লাখ মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ২৬টি মাছ ধরার নৌকা নৌ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদীর সদর এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আটক ৫ জেলের মধ্যে ৩জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৮ দিন করে কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন্নাহার এবং ২জন অপ্রাপ্ত বযস্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে পরিবারের জিন্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। জব্দকৃত ১০হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৩ কেজি ইলিশ স্থানীয় গরবীদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অপরদিকে হাইমচর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুব রশীদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাইমচরে ১১ জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৫ জেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী। বাকী ৬ জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়।
জব্দকৃত ৪৭ হাজার মিটার কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং ৫০ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ। এছাড়া মাছ ধরার একটি নৌকা উপজেলা টাস্কফোর্স হেফাজতে রয়েছে। অভিযানে সহযোগিতা করেন কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।