ফরিদগঞ্জে রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও দেশীয় অস্ত্র, লুণ্ঠিত নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেসব্রিফিং করে এ সব তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য লক্ষ্মীপুর জেলার দালাল বাজার এলাকার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. রিপন হোসেন (৪০), লক্ষ্মীপুর সদর এলাকার মৃত তসলিম মুন্সির ছেলে মো. মুরাদ হোসেন (৩৮) ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের মৃত জামাল হকের ছেলে আবু তাহের (৩৫)।
এর আগে গত বুধবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের হাজী বাড়ীর সহিদ উল্যার বসত ঘরে পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতির সংবাদে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করেও ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করতে পারেনি স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে ডাকাতির ঘটনার শিকার সহিদ উল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতের অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২ দুটি দেশীয় অস্ত্র জব্দ, লুন্ঠনকৃত ৫ ভরি স্বর্ণলঙ্কারের মধ্যে ৪ ভরি ১০ আনা ১ রতি ও নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ পুলিশ আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. রিপনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৭টি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে। এছাড়া মুরাদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এরা সকলেই আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
প্রেস ব্রিফিং এ ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো. সাইদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এবং অভিযানে অংশনেয়া এসআই রুবেল ফরাজী ও এসআই একরামুল হক উপস্থিত ছিলেন।