আবু মুছা আল শিহাবঃ
ঠাণ্ডা বাতাসের দাপট আর মাঝে মাঝে অসময়ের বৃষ্টি মিলে শীত জেঁকে ধরেছে সবাইকে। সারা দেশের ন্যায় শাহরাস্তিতেও চলছে কনকনে শীত, পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় অসহায় দরিদ্র মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নিন্ম আয়ের মানুষকে। এসব হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সজাগ ফাউন্ডেশনের মানব দরদি কিছু স্বেচ্ছাসেবী।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) তিন দিনের এই কম্বল বিতরণের শেষ দিনেও শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে উপজেলা জুড়ে একযোগে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করে সংগঠনের কর্মীরা। শীতার্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছে কম্বল।
সজাগ ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি, মোঃ রিয়াদ হোসেন জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি শীতার্ত ও বন্যার্তসহ যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ- মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সজাগ। প্রতিবছরের মতো এ বছরও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে সংগঠনটি। এ বছর ভিন্ন আঙ্গিকেও কম্বল বিতরণ করা হয়। রাতভর ঘুরে ঘুরে অসহায় ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের গায়ে জড়িয়ে দেয়া হয় কম্বল।
শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়ে সজাগ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন সাদ্দাম বলেন , শীত প্রতিবছর আসে গরিব অসহায় মানুষের জন্য এক কষ্টের বার্তা নিয়ে। তবে অসহায় মানুষের পাশে কমই সামর্থ্যবান মানুষকে দাঁড়াতে দেখা যায়। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারা অনুভূতির মাত্রা ভিন্ন। আমরা এবার পরিকল্পনা করে পুরো শাহরাস্তি উপজেলা জুড়ে দুস্থ ও অসহায় শীতার্তদের দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছি কম্বল।সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সবাই এগিয়ে আসলে হাসি ফুটবে অনেকের মুখে।
করোনাকালীন সময়ে জনসচেতনাতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার বিতরণ করেছে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবক টিম সজাগ ফাউন্ডেশন। এছাড়াও, বৃক্ষরোপণ, রক্তদান, অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ খরচে বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, বিনামূল্যে মৃত ব্যক্তিদের গোসল ও দাফনের মতো মানবিক কাজও করে যাচ্ছে সজাগ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক টিম।
কম্বল বিতরণে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আবু মুছা আল শিহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তী, ব্লাড বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিন উদ্দীন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো: আবুল বাসার, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. দীপক রায়, সহ-প্রচার সম্পাদক আবু সুফিয়ান হ্নদয় সদস্য মইনুল ইসলাম বাবলু, বিকাশ পাল, অপু চক্রবর্তী, তামীম, ফারুক হোসেন প্রমূখ।
হাড়কাঁপানো এ শীতে কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে কম্বল পাওয়া প্রান্তিক মানুষরা। দু’চোখে খুঁজে ফিরেছে বাঁচার আকাঙ্ক্ষা। সেই সঙ্গে কম্বল পাওয়া দরিদ্র মানুষরা সাধুবাদ জানিয়েছেন সজাগ ফাউন্ডেশনকে।