হাজীগঞ্জে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সসহ একাধিক সড়ক দূর্ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। তারা সবাই হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে অল্পের জন্য বেঁেচ গেছেন এ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের পরিবারের শিশুসহ ৯ সদস্য। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলার কুমিল্লা-চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ-কচুয়া সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এ দিন বিকালে এ দিন রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার সর্দার বাড়ির সামনে এ্যাম্বুলেন্স ও বালুবাহী ড্রাম ট্রাক এবং কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ফায়ার সার্ভিসের সামনে অটোরিক্সা ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষসহ একাধিক সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ দিন দুপুরে রাজধানীর শনির আখড়া থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সোনাইমুড়িতে এ্যাম্বুলেন্সযোগে লাশ নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা। এ সময় রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার সর্দার বাড়ির সামনে এ্যাম্বুলেন্সটিকে (ঢাকা মেট্টো খ ৭১-২৪৮৭) বালুবাহী একটি ড্রাম ট্রাক (ঢাকা মেট্টো ট ১১- ৭০৩৬) সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে এ্যাম্বুলেন্সটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অল্পের জন্য বেঁচে যায় চালকসহ এ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের ৯ জন শিশু ও নারী-পুরুষ আত্বীয়-স্বজন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন এবং কারো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে এ দিন দুপুরে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ফায়ার সার্ভিসের সামনে অটোরিক্সা ও সিএনজির মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন, হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন টোরাগড় গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে অটোচালক মো. সোহাগ হোসেন (৩৫) ও সিএনজির যাত্রী বলাখাল গ্রামের বলাখাল গ্রামের মৃত দিলীপের ছেলে সঞ্জয় সাহা (৪২)।
এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন, যশোর জেলার নারায়নপুর উপজেলার চৌগাছা গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৬) ও হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিযনের হাটিলা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. ইয়াছিন (৩)।
একই দিন বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত আরও ৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন, শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের এনায়েত উল্যাহর ছেলে রাকিব হোসেন (২৩), হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা গ্রামের সফিকের ছেলে মো. জুয়েল (২১) ও বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মো. লিটনের স্ত্রী রীপা বেগম (২৫)।
উল্লেখিত আহত ব্যক্তিরা সবাই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. গোলাম মাওলা নঈম।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, অটোরিক্সা ও সিএনজি এবং এ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক দূর্ঘটনার অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।