মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
হাজীগঞ্জে দাখিল পরীক্ষায় ১১৫৩ জন অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৯০২ জন। পাশের হার ৭৮.২৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫১ জন, এ গ্রেড ৩১৫ জন, এ মাইনাস ২৬২ জন, বি গ্রেড ১৭৯ জন ও সি গ্রেড ৯৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২৫১ জন। এ বছর কোন মাদরাসায় শতভাগ পাশের গৌরব অর্জন করতে পারেনি।
সোমবার(১২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে উপজেলায় জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামিল মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১০৭ জন। পাশের হার ৭৭.৫৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন, এ গ্রেড ৩৪ জন, এ মাইনাস ১৬ জন, বি গ্রেড ৩০ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৩১ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাপাইকাপ আলিম মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৬৫ জন। পাশের হার ৯৩.৯৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, এ গ্রেড ১৫ জন, এ মাইনাস ১৩ জন, বি গ্রেড ১৪ জন ও সি গ্রেড ১৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন।
তৃতীয় অবস্থানে রাজারাগাঁও ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৮৮ জন। পাশের হার ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন, এ গ্রেড ৪৮ জন, এ মাইনাস ২৩ জন, বি গ্রেড ৭ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।
এছাড়া নেছারাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৩ জন। পাশের হার ৭৩.৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১২ জন।
রামচন্দ্রপুর ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৩১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩০ জন। পাশের হার ৯৬.৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৬ জন, এ মাইনাস ১৩ জন, বি গ্রেড ১০ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৬৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৭১.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ৭ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ২০ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৯ জন।
ছাহেল আবাদ এম.এন ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৫ জন। পাশের হার ৮০.৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ২২ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১১ জন।
বেলচোঁ কারিমাবাদ ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪৭ জন। পাশের হার ৮৭.০৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ১৭ জন, এ মাইনাস ১৫ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ৪ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৭ জন।
সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৩৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৩ জন। পাশের হার ৮৬.৮৪ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ১২ জন, বি গ্রেড ৭ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন।
নওহাটা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৬ জন। পাশের হার ৮৪.৫২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ৩৯ জন, এ মাইনাস ২০ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড ৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ জন।
বাকিলা ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২২ জন। পাশের হার ৬২.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, এ গ্রেড ১১ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ২ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।
বলাখাল এম.এন আলিম মাদরাসা থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৭ জন। পাশের হার ৪৩.৬০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৩ জন, এ মাইনাস ৬ জন, বি গ্রেড ৫ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন।
কাকৈরতলা ইসলামীয়া আলিম মাদরাসা থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৪০ জন। পাশের হার ৮০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৫ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১১ জন ও সি গ্রেড ১৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১০ জন।
দেশগাঁও দারুস সুন্নাহ ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৬ জন। পাশের হার ৮১.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১০ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ৩ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৬ জন।
রাজাপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৩ জন। পাশের হার ৬৩.৮৯ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৮ জন, এ মাইনাস ১০ জন, বি গ্রেড ৩ জন ও সি গ্রেড ২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।
মদিনাতুল উলুম ইসলামীয়া দাখিলা মাদরাসা থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৫ জন। পাশের হার ৬৭.৩০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ২ জন, এ মাইনাস ৮ জন, বি গ্রেড ১৩ জন ও সি গ্রেড ১২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৭ জন।
মাদরাসে আবেদীয়া মোজাদ্দেদীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৯ জন। পাশের হার ৪৬.৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১ জন, এ মাইনাস ৫ জন, বি গ্রেড ৮ জন ও সি গ্রেড ৫ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন।
ডাটরা শিবপুর আজিজিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮ জন। পাশের হার ৭৫.৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১২ জন, এ মাইনাস ১১ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯ জন।
উচ্চগাঁও ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২২ জন। পাশের হার ৬২.৮৬ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৭ জন, এ মাইনাস ১০ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন।
রাজাপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ৩৭ জন। পাশের হার ৯৪.৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, এ গ্রেড ১৬ জন, এ মাইনাস ১৭ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।
শ্রীপুর মকবুল আহমেদ ইছমাইলীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে ২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২২ জন। পাশের হার ৯৫.৬৫ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১১ জন, এ মাইনাস ৪ জন, বি গ্রেড ৪ জন ও সি গ্রেড ৩ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন।
হাজেরা আলী ক্যাডেট দাখিল মাদরাসা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২৮ জন। পাশের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ১৫ জন, এ মাইনাস ১২ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন।
আলী আহমেদ ইসলামিয়া একাডেমিক দাখিল মাদরাসা থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ১৪ জন। পাশের হার ৮৭.৫০ শতাংশ। এর মধ্যে এ গ্রেড পেয়েছে ৪ জন, এ মাইনাস ৯ জন ও বি গ্রেড ১ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন।