শাহরাস্তি প্রতিনিধি:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপত লায়ন ইঞ্জি. মমিনুল হকের নেতৃত্বে বিজয় দিবসে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় হাজীগঞ্জ বাজার থেকে বিজয় র্যালিটি শুরু হয়।
বিজয় র্যালিটি ছিলো স্মরণকালের সর্ববৃহত। প্রায় লক্ষাধীক নেতা-কর্মী নিয়ে অনুষ্ঠিত বিজয় র্যালিতে হাজার হাজার মোটরসাইকেল, পিকআপ, সিএনজি প্রাইভেটকার, হাইস গাড়ী নিয়ে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিটি পয়েন্টে হাজার হাজার নেতা কর্মী রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে নেতৃবৃন্দকে বিভিন্ন স্লোগান সহকারে অভিনন্দন জানিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
সকাল ৮ টায় হাজীগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে প্রধান অতিথিকে নিয়ে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি আলিগঞ্জ, এনায়েতপুর অতিক্রম করে শাহরাস্তি উপজেলা সীমানা অংশে ঢুকে পড়ে। তারপর একে একে ওয়ারুক বাজার,দোয়া ভাঙ্গা,শাহরাস্তি উপজেলা সদর এসে প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মমিনুল হক দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে শাহরাস্তি উপজেলা কমপ্লেক্সে স্থাপিত শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। তারপর গাড়িবহর গন্ধর্বপুর ব্রিজ, শোরশাক বাজার, রাগৈ,দশনাপাড়া রাস্তার মোড়, নরিংপুর, ফেরুয়া বাজার, সূচিপাড়া বাজার ফাঁসিতলার মোড়,আয়নাতলী বাজার, মোল্লার দর্জা, উঘারিয়া হাইস্কুল, চিতোষী বাজার, বেরনাইয়া বাজার, যাদবপুর ব্রিজ, বিজয়পুর বাজার, হাটপাড়, শাহরাস্তি বাজার, উনকিলা বাজার, বানিয়াচোঁ, কালিয়াপাড়া বাজার অতিক্রম শেষে দলীয় কার্যালয় এসে এটি শেষ হয়।
শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে স্মরণকালের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক লায়ন ইঞ্জিঃ মমিনুল হক।
তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বাধীনতা সংগ্রামের ৫৪ তম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা পৌঁছাতে এ বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালির আয়োজন করা হয়।
ওই শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে শাহরাস্তি উপজেলার বিএনপি’র নিবেদিত কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে জনগণের দ্বারপ্রান্তে আমরা হাজির হয়েছি। বিগত দিনে তৎকালীন শাসকদের অত্যাচারে আমাদের রাজনৈতিক পথ ছিল ইস্পাত কঠিন। বাকস্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ । আজ কর্মীরা উন্মুক্ত রাজনীতির সুযোগ পেয়ে মনের আনন্দে রাজনৈতিক অভিলাষ প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছে।
এছাড়া তিনি বলেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। ওই প্রতিযোগিতায় যাতে দল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখার আহবান জানান। পরিশেষে তিনি আয়োজকদের সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আয়েত আলী ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি মো: আক্তার হোসেন পাটোয়ারী, বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, আবু ইউসুফ রুপম পাটোয়ারী, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম পাটোয়ারী লিটন, হাজীগঞ্জ বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম জিয়াউদ্দিন বাদল, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন সেলিম, সৌদি আরব বিএনপি সভাপতি ফখরুল ইসলাম বিলাস, উপজেলা বিএনপি যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌরসভা বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক গাজী ফিরোজ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আলী আজগর মিয়াজী, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. শাহেদুল হক মজুমদার সোহেল, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এহতেশামুল হক গণি, পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন নয়ন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব হাসান বাবলু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ মাসুদ আলম, সদস্য সচিব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন শিপন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইঞ্জি: এবি এম পলাশ, সদস্য সচিব আজগর হোসেন মিয়াজী, উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মোঃ হেলাল উদ্দিন, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান।