চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা বাজার ইজারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহষ্পতিবার (৮মে ২০২৫) বিকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটকে পড়াদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়।
পুলিশ ও ব্যাবসায়ীরা জানান, বাংলা ১৪৩২ সালের এক বছরের জন্য ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা বাজার ইজারা দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এই ইজারাকে কেন্দ্র করে ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা দুইটি পক্ষ বিভক্ত হয়ে পড়ে। এক পক্ষ ইজারা বাতিলের দাবিতে এবং অন্যপক্ষ রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে ইজারা বহাল রাখার জন্য অবস্থান নেয়।
কয়েকদিন পূর্বে ইজারার নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলে এলাকার ব্যবসায়ী,আড়তদার, মৎস্যজীবিরা মানববন্ধন করে। এর প্রতিবাদে বৃহষ্পতিবার (৮ মে ২০২৫) বিকালে ইজারাদারদের সহায়তাকারী পৌর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া শেখসহ কয়েকজনকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করার প্রতিবাদে এলাকার কয়েকশত নারী-পুুরুষ পাল্টা মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করেই মনির হোসেন নামে স্থানীয় একজন ইটের আঘাতে আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র হামলা চালায়। ঘন্টাব্যাপি এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে মনির হোসেনসহ দুই পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। আহতদের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব আলম সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সেন সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পৌর বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সংঘর্ষ চলাকালিন সময়ে তারা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবরুদ্ধ ছিলেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা বাজারে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। অবরুদ্ধ থাকা কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।