চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদকে ঢাকার পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার আরেক মামলায় আসামী দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২২জুন) দুপুরে তাকে জামিনের জন্য সদর আমলি আদালতে উঠালে বিচারক ইয়াসিন আরাফাত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. জহিরুল ইসলাম।
এর আগে গত ২জুন রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় মেয়ের বাসা থেকে নাছির উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই দিনই ২০২৪ সালে কদমতলী থানা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
২০ দিন ঢাকায় কারাগারে থাকার পর তাকে আজ রোববার চাঁদপুর আদালতে হাজির করা হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া মিঠু বলেন, ৫ আগস্টের পর চাঁদপুরে দায়ের করা কোন মামলায় তিনি এজহারভুক্ত আসামী নেই। চাঁদপুর সদর মডেল থানায় গেল বছর ২০ আগষ্ট এর ১৯ নম্বর মামলায় তাকে আসামী দেখানো হয়। এই মামলায় বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানাগেছে, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে পতিত শেখ হাসিনা সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অতর্কিত হামলা, মারধর, হুমকি ও বিস্ফোরণ ঘটায়।
এই ঘটনায় গেল বছর ২০ আগষ্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন সদর উপজেলার ঢালিরঘাট এলাকার মৃত আলী আকবর খানের ছেলে নুরুল ইসলাম খান। ওই মামলায় এজহারভুক্ত আসামী করা হয় ২২৪জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০জনকে।
আসামী পক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে আরো ছিলেন চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আহসান হাবিব, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. মজিবুর রহমান ভুঁইয়া ও অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী।