মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর পৌর সভার উত্তর বারোইগাঁও গ্রামের ইব্রাহিম প্রধানিয়া বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে মৃত তাফাজ্জল হোসেনের ছেলে জামাল ও কামাল হোসেনদের বিরুদ্ধে ।
সরেজমিন জানা যায়, দলিল দাতাগণ অভিযোগকারী জামাল গংদের নিকট আত্বীয় ওয়ারিশ বিধায় তাদের প্রয়োজনে প্রাপ্ত হিস্যা মোতাবেক আপোষ বন্টন মতে ১০ দাগে মোট ত্রিশ দশমিক বিশ (৩০.২০) শতাংশ জমি খরিদ করে ওয়াহেদুজ্জামান,সোনিয়া আনোয়ার ও আয়েশা আক্তার দোলন। যার দলিল নং ৩৮১৭ এবং খারিজ খতিয়ান নং ১৭১৪। উক্ত দলিল ও নামজারি খতিয়ানের উপর মিথ্যা ও বানোয়াট আপত্তি করেন মৃত তাফাজ্জল হোসেনের ছেলে জামাল ও কামাল হোসেন গং।
ক্ষরিদসুত্রে মালিক ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, আমরা মৃত হাজেরা বেগমের ওয়ারিশগণের নিকট হতে প্রাপ্ত হিস্যা মোতাবেক সম্পত্তি খরিদ করেছি।খরিদ ও নামজারি খতিয়ান মোতাবেক জমিতে দখলে আছি। তিনি আরও বলেন, শনিবার জামাল ও কামাল হোসেন গংদের অনুমতিতে আমাদের ক্ষরিদকৃত জায়গায় নেট ও বাঁশবেড়ায় সংরক্ষণ করি। এসময়ে কামাল বাঁশের উপর পরে সে নিজে নিজে জখম হয়ে মতলব দক্ষিণ থানা একটি মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি অভিযোগের সঠিক ও সুষ্ঠ তদন্ত প্রার্থনা করছি।
খরিদ ও পৈত্রিক সুত্রে মালিক ওয়াহিদুজ্জানের শশুর বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন ভুইয়া বলেন, জামাল হোসেন গংদের অভিযোগ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠ তদন্তে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। তিনি ওয়াহেদুজ্জামান গংদের খরিদকৃত সম্পত্তির দলিল ও খারিজ খতিয়ানের বৈধতার উপর সঠিক আলোচনা করে ত্রিশ দশমিক বিশ (৩০.২০) শতাংশ জমি দখল ও সংরক্ষণে রয়েছেন বলে জানান । তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ক্ষরিদকৃত জমির দলিল ও নামজারির কাগজ ফর্দে ফর্দে বুজিয়ে দেখান। তিনি আরোও বলেন, কামাল গং যে ৬জনের নাম উল্লেখ করে মতলব দক্ষিণ থানায় অভিযোগ করছে উল্লেখিত ব্যাক্তি কেহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলোনা এবং ঐসময়ে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, দুলাল শেখ, রানা প্রধান, নবীর হোসেন, আরিফ কাজি, জাহাঙ্গীর মৃধা, শাহিন, নুরুজ্জামান বেপারীসহ এলাকার গণ্যমান্য আরোও অনেকে।