ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষককে দরখাস্ত শিক্ষার্থীর

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে এ দরখাস্ত দেন তিনি।

দরখাস্তে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, তার জন্ম ১৮ জুন ২০১২। বর্তমানে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত থাকলেও পরিবার জোরপূর্বক তার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু তিনি বিয়েতে সম্মত নয়। তাই প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করে বিষয়টি থামাতে সহযোগিতা চান।

এ বিষয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি দরখাস্তটি গ্রহণ করেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও ইউএনওকে জানিয়েছি। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা জানান, পারিবারিকভাবে দেখাশোনা হয়েছে। তবে বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করা হয়নি। এখন মেয়ের বিয়ে দেব না। আর যদি দিই, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিয়েন।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তখন আমরা সঙ্গে থেকে ব্যবস্থা নিই।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়েছি। আমরা দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে প্রধান শিক্ষককে দরখাস্ত শিক্ষার্থীর

Update Time : ১১:১২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে বিয়ে বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে এ দরখাস্ত দেন তিনি।

দরখাস্তে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, তার জন্ম ১৮ জুন ২০১২। বর্তমানে সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত থাকলেও পরিবার জোরপূর্বক তার বিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু তিনি বিয়েতে সম্মত নয়। তাই প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন করে বিষয়টি থামাতে সহযোগিতা চান।

এ বিষয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি দরখাস্তটি গ্রহণ করেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও ইউএনওকে জানিয়েছি। একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা জানান, পারিবারিকভাবে দেখাশোনা হয়েছে। তবে বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করা হয়নি। এখন মেয়ের বিয়ে দেব না। আর যদি দিই, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিয়েন।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছি। বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তখন আমরা সঙ্গে থেকে ব্যবস্থা নিই।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া বলেন, বাল্যবিবাহের সংবাদ পেয়েছি। আমরা দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।