ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও সমাবেশ

বৈষম্য, দমন-পীড়ন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গণমিছিলটি। এতে অংশ নেন জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, ছাত্র ও যুবসমাজ, এবং সাধারণ জনগণ।

বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও কর্মসূচিতে ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ব্যাপক উদ্দীপনা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী।

গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন গত ১৭ বছর ধরে দেশের জনগণ এক ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে নিপীড়ন, বৈষম্য ও পরাধীনতার মধ্যে দিন কাটিয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ছাত্র জনতার সাহসী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক সময়ের স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই ঐতিহাসিক আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথচলায় এক উজ্জ্বল মাইলফলক।

এদেশের সাধারণ মানুষ এখন চায় একটি শান্তিপূর্ণ, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ যেখানে থাকবে না কোনো দখলদার চক্র, চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট কিংবা সন্ত্রাস-জুলুমের ভয়াবহতা।

দেশ গঠনে নাগরিকদের আশা, একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে—যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক ন্যায়ের বিজয় হবে চিরস্থায়ী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, শহর-সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোঃ শাহাজান খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোঃ বেলায়েত হোসেন, সহ সেক্রেটারি মোঃ সবুজ খান সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ ও গণমিছিল থেকে বক্তারা বৈষম্যহীন সমাজ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

১০ম গ্রেডসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি প্রদান

চাঁদপুরে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও সমাবেশ

Update Time : ০৫:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

বৈষম্য, দমন-পীড়ন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে চাঁদপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এক বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুর শহরের বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গণমিছিলটি। এতে অংশ নেন জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, ছাত্র ও যুবসমাজ, এবং সাধারণ জনগণ।

বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও কর্মসূচিতে ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ব্যাপক উদ্দীপনা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা বিলাল হোসেন মিয়াজী।

গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন গত ১৭ বছর ধরে দেশের জনগণ এক ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে নিপীড়ন, বৈষম্য ও পরাধীনতার মধ্যে দিন কাটিয়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ইনসাফভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ছাত্র জনতার সাহসী গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক সময়ের স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই ঐতিহাসিক আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথচলায় এক উজ্জ্বল মাইলফলক।

এদেশের সাধারণ মানুষ এখন চায় একটি শান্তিপূর্ণ, বৈষম্যহীন এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত বাংলাদেশ যেখানে থাকবে না কোনো দখলদার চক্র, চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট কিংবা সন্ত্রাস-জুলুমের ভয়াবহতা।

দেশ গঠনে নাগরিকদের আশা, একটি মানবিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে—যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক ন্যায়ের বিজয় হবে চিরস্থায়ী।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, শহর-সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা আফসার উদ্দিন মিয়াজী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মোঃ শাহাজান খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মোঃ বেলায়েত হোসেন, সহ সেক্রেটারি মোঃ সবুজ খান সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ ও গণমিছিল থেকে বক্তারা বৈষম্যহীন সমাজ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সম্মিলিতভাবে সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।