ঢাকা 5:52 pm, Wednesday, 13 August 2025
‘খোয়াব’র পাঠ-পর্যালোচনা ও প্রকাশনা উৎসবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

ভাষা ও সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে খেটে খাওয়া শ্রমিক, মেহনতি মানুষরা-সুলতানা রাজিয়া

‘খোয়াব’ একটি ছোট কাগজ। ‘খোয়াব’র ২য় সংখ্যা ছিলো ‘আঞ্চলিক ভাষা সংখ্যা’। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার ভাষায় রচিত হয় গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুক্ত গদ্য এবং ছড়া। কলকাতা, ত্রিপুরা, মিজুরাম এবং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টিদের ভাষায় রচিত কবিতাও স্থান পেয়েছে এ সংখ্যায়। অতিথিরা ছোট কাগজ ‘খোয়াব’র মোড়ক উন্মোচন করেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) বিকালে আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন পাঠাগারে পাঠ-পর্যালোচনা ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া। ‘খোয়াব’ সম্পাদক অমৃত ফরহাদ ও দন্ত্যন ইসলাম’র যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর সরকারি কলেজ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.সাইদুজ্জামান। ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি হাসানুজ্জামান’র সভাপতিত্বে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অন্যতম সম্পাদক কবি দন্ত্যন ইসলাম।

প্রধান অতিথি সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘খোয়াব’ একটি চমৎকার কাজ করেছে; আঞ্চলিক ভাষার সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একদিন অমূল্য সম্পদে হিসেবে পরিগনিত হবে। আমি মনে করি এটি একটি স্থায়ী কাজ। সত্যি কথা বলতে- বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে এদেশের খেটে খাওয়া দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেণির মানুষরা। কথাটি এই বইটিতেও আছে। আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে কাজ সহজ বিষয় নয়, এটি একটি দূরহ কাজ। সে কাজটি যে দু’জনের হাত ধরে সম্পূর্ণ হয়েছে তাদেরকে আন্তরি ধন্যবাদ। আশা ও বিশ্বাস তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন কাজ দেখতে পাবো।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুর এর মহাপরিচালক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ। সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুর’র পরিচালক (গবেষণা) বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধীক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, ফরিদগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোবারক করিম খান, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল মুকুল, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুরের নির্বাহী সদস্য সুমন কুমার দত্ত, কবির হোসেন মিজি, সংগঠক ও সাহিত্যিক এইচ.এম জাকির, কবি জাহিদ নয়ন, আরিফ হোসেন শান্ত, শিক্ষক মিজানুর রহমান, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান তারু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাসান শুভ্র প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের মাঝে খোয়াব থেকে স্ব-রচিত কবিতা পাঠ করেন- কবির হোসেন মিজি , নুরুন্নাহার মুন্নির (চাঁদপুরের ভাষায় রচিত, কষ্ট) কবিতা আবৃত্তি করে ইন্দ্রানি দাস মম, মাসুদ সুমনের (মাদারীপুরের ভাষায় রচিত, ক্ষরণ) কবিতা আবৃত্তি করে ইন্দ্রিলা দাস প্রভা। দেশের গান পরিবেশন করে পৃথুলা মজুমদার, রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করে পল্লবী কর্মকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মতলব উত্তরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দায়িত্বশীলদের মতবিনিময় সভা 

‘খোয়াব’র পাঠ-পর্যালোচনা ও প্রকাশনা উৎসবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

ভাষা ও সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে খেটে খাওয়া শ্রমিক, মেহনতি মানুষরা-সুলতানা রাজিয়া

Update Time : 08:11:22 pm, Monday, 11 August 2025

‘খোয়াব’ একটি ছোট কাগজ। ‘খোয়াব’র ২য় সংখ্যা ছিলো ‘আঞ্চলিক ভাষা সংখ্যা’। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলার ভাষায় রচিত হয় গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুক্ত গদ্য এবং ছড়া। কলকাতা, ত্রিপুরা, মিজুরাম এবং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টিদের ভাষায় রচিত কবিতাও স্থান পেয়েছে এ সংখ্যায়। অতিথিরা ছোট কাগজ ‘খোয়াব’র মোড়ক উন্মোচন করেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) বিকালে আম্বিয়া-ইউনুছ ফাউন্ডেশন পাঠাগারে পাঠ-পর্যালোচনা ও প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া। ‘খোয়াব’ সম্পাদক অমৃত ফরহাদ ও দন্ত্যন ইসলাম’র যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর সরকারি কলেজ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.সাইদুজ্জামান। ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি হাসানুজ্জামান’র সভাপতিত্বে এবং শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অন্যতম সম্পাদক কবি দন্ত্যন ইসলাম।

প্রধান অতিথি সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘খোয়াব’ একটি চমৎকার কাজ করেছে; আঞ্চলিক ভাষার সংখ্যাটি বাংলা সাহিত্যে একদিন অমূল্য সম্পদে হিসেবে পরিগনিত হবে। আমি মনে করি এটি একটি স্থায়ী কাজ। সত্যি কথা বলতে- বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে এদেশের খেটে খাওয়া দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেণির মানুষরা। কথাটি এই বইটিতেও আছে। আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে কাজ সহজ বিষয় নয়, এটি একটি দূরহ কাজ। সে কাজটি যে দু’জনের হাত ধরে সম্পূর্ণ হয়েছে তাদেরকে আন্তরি ধন্যবাদ। আশা ও বিশ্বাস তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো নতুন নতুন কাজ দেখতে পাবো।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুর এর মহাপরিচালক ও চাঁদপুর প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ। সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুর’র পরিচালক (গবেষণা) বিশিষ্ট কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধীক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, ফরিদগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোবারক করিম খান, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম’র উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল মুকুল, চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমি চাঁদপুরের নির্বাহী সদস্য সুমন কুমার দত্ত, কবির হোসেন মিজি, সংগঠক ও সাহিত্যিক এইচ.এম জাকির, কবি জাহিদ নয়ন, আরিফ হোসেন শান্ত, শিক্ষক মিজানুর রহমান, ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরাম সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান তারু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাসান শুভ্র প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের মাঝে খোয়াব থেকে স্ব-রচিত কবিতা পাঠ করেন- কবির হোসেন মিজি , নুরুন্নাহার মুন্নির (চাঁদপুরের ভাষায় রচিত, কষ্ট) কবিতা আবৃত্তি করে ইন্দ্রানি দাস মম, মাসুদ সুমনের (মাদারীপুরের ভাষায় রচিত, ক্ষরণ) কবিতা আবৃত্তি করে ইন্দ্রিলা দাস প্রভা। দেশের গান পরিবেশন করে পৃথুলা মজুমদার, রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করে পল্লবী কর্মকার।