
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃত আসামি পারভেজ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার পিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে। তিনি খুলনা সদরে নিরালা আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন ।

অন্য আসামি খলিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি সদর উপজেলার শেখের হাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকেন।
ফরিদগঞ্জ থানার মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে থানা মোড় এলাকার মন্টু কর্মকারের “মা জুয়েলার্সে” চুরি ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাতনামা চোর চক্র তার দোকানের ক্যাশ বক্সের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা ও দোকানের ভিতরে সিন্দুকের তালা ভেঙে ২৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলমের তত্ত্বাবধানে একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে মূল আসামি পারভেজকে ২৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টায় খুলনা শহরে নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্যে থানার অপর একটি টিম সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টায় খলিলকে গ্রেফতার করেন।
এসপি আরও বলেন, কামাল পারভেজ মিলন একজন আন্ত:জেলা চোর চক্রের মূল হোতা। সে তার সহযোগী অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণালংকারের দোকানে কৌশলে চুরি করে আসছে। বাকি স্বর্ণ উদ্ধার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তাদেরকে চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Reporter Name 





















