চাঁদপুর জেলা বিএনপির সদস্য, ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বলেছেন, মতলবে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি’র) ঝান্ডা সঠিক লোকের কাছে যেতে হবে। এতে মতলবের সাধারণ মানুষের মতের প্রতিফলন ঘটেনি। চাঁদপুর-২ আসন বিএনপির ঘাটি। আর এই আসনটি বিএনপি পেতে হলে জনসাধারণের মতের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দলের উচ্চ পর্যায়ে সঠিক তথ্য পৌছাতে হবে। আমি আমার নেতা তারেক রহমানের দেয়া সকল ক্রাইট্রিয়া পূরণ করেছি। আমি সব সময় রাজপথে ছিলাম, আছি ও থাকবো। যারা বিগত দিনে সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে ছিলো, মতলব উত্তর ও দক্ষিণে সাধারণ মানুষের সাথে থাকতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের শত্রু ও মিত্র চিহ্নিত করার দিন। যারা বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করে রাখতে চেয়েছিল, যারা জনগণের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারহরণ করে দেশে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল, যারা দেশের শৌর্য বীর্য সাহস এবং সম্মানের প্রতীক সেনাবাহিনীর গৌরবকে ভূলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের এই দিনে দেশপ্রেমিক সিপাহী জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে তাদের পরাজয় ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দিয়েছেন। চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দেননি। আশা করি, চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আমাকে মূল্যায়ন করা হবে। কারণ, বিগত ১৭ বছরের সকল আন্দোলন সংগ্রামেন আমার নেতাকর্মীরা রাজপথে ছিলো। জুলাইয়ের আন্দোলনে আমার নিবেদিত ৩জন কর্মী জীবন দিয়েছে। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
শুক্রবার (১৪ নভেমব্র ২০২৫) মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির টিএন্ডটি কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও মতলব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নূরে আলম মিয়াজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঢাকা ওয়াল্ডার্স ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজু, চাঁদপুর জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক ও মতলব পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মনির হোসেন ফরাজী, সদস্য সচিব মো. শাহাদাত হোসেন অভি, মতলব পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. ইদ্রিস সরকার মুন্না, বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম মৃধা, আ. মতিন মেম্বার, খোরশেদ আলম, জজ মিয়া, সোহাগ পাটোয়ারী, লেয়াকত হোসেন মালু, সাইফুল ইসলাম বাদশা, আব্দুর মাষ্টার, যুবদল নেতা রবিন সরকার, তৌফিক কাজী মিশু, সাইফুল ইসলাম লিংকন, রনি প্রধান, মামুন প্রধান, জাকির প্রধান, রুবেল প্রধান, রাশেদ মামুন, ইসমাইল হোসেন, উজ্জ্বল প্রধান, ইব্রাহিম কাজী, শাহাদাত হোসেন মোল্লা টিপু, ছাত্রদল নেতা শরীফ হোসেন, মালেক গাজী, মানিক রেজা, ফয়সাল রাজা, নোমান, শফিউল, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল্লাহ, দ্বীন ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সফিকুল ইসলাম রিংকু 






















