মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার মানুষের যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিত্যদিনের যোগাযোগব্যবস্থার মূল ভরসা ধনাগোদা সেতু। দুই উপজেলার “একমাত্র সেতুবন্ধন” হিসেবে পরিচিত এই সেতুটির দুপাশের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাব, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অবহেলায় এখন প্রায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে।
সেতুর বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা নিচ থেকে মাটি এবং বালু সরে গিয়েছে, কংক্রিট উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। লোহার রড বেরিয়ে পড়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলের সময় সেতুর উত্তর পাশে রাস্তাটি কাঁপতে দেখা যায়, যার ফলে পথচারী ও যানচালকরা আতঙ্ক নিয়ে প্রতিদিন এই সেতু পার হচ্ছে।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে জরুরি সেবা যানবাহন, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে রোগী পরিবহন—সব ধরনের চলাচলই মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটির উত্তর পাশের রাস্তাটি ভেঙে গেলে মতলব উত্তর-দক্ষিণের যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, যা সরাসরি অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাদের দাবি—ত্বরিত ভিত্তিতে ধনাগোদা সেতুর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হোক, যাতে দুটি উপজেলার লাখো মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
সফিকুল ইসলাম রিংকু 


















