কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের রাতের আধারে প্রায় ১ হেক্টর ফসলী জমিতে বোপন ও রোপন করা ধান,মরিচ, ভুট্টা, ধনিয়া পাতা ও পেঁয়াজ গাছ কেটে উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে মেঘদাইর গ্রামের ফসলী মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ চাষী আব্দুল করিম ও ভুলু মিয়া জানান,মেঘদাইর মাঠে এক একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেন তারা। অনেক টাকা ব্যয় করে তারা ভুট্টা ও অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করেছে। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবাদ করেছি। কিন্ত সোমবার রাতে একদল দুর্বৃত্তরা সব গাছ কেটে উপড়ে ফেলে দেয়। আমাদের পুঁজি যা ছিলো তা ভুট্টা ক্ষেতে লাগিয়েছি। এতে ৫০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভুট্টা বিক্রি করে এনজিও ঋণ পরিশোধ করার কথা ছিলো।
মরিচ চাষী মহিব উল্যাহ মোল্লা,রাশিদা আক্তার ও হারুন জানান, রাতের অন্ধকারে আমাদের ৪২ শতক জমির মরিচ গাছ তুলে উপড়ে ফেলে দেয়। পরিদন মঙ্গলবার মরিচ গাছ পরিচর্যা করতে গেলে এ দৃশ্য দেখতে পাই। এতে আমাদের ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
ধান চাষী দেলোয়ার হোসেন ও কৃষানী মনিকা রানী বলেন, মেঘদাইর মাঠে প্রায় বেশির ভাগ জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। আমরা এ মাঠে ৯৪ শতাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছি। কিন্তু শত্রুতাবশত কে বা কাহারা সোমবার রাতে ধানের চারা গুলো কেটে দিয়েছে। এতে আমাদের ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমরা ঋণ করে এসব চাষাবাদ করেছি। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আমাকে জানিয়েছেন। আমি সরজমিনে মাঠে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলী জমিগুলো পরিদর্শন করেছি। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সোফায়েল হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমিগুলো পরিদর্শন করেছি।কৃষি বিভাগ থেকে ওই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দিয়ে সহযোগীতা করা হবে। কৃষকদের কষ্টের অর্জিত ফসল দুর্বৃত্তরা নষ্ট করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।