ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লা থেকে অপহরণ হওয়া দুই এতিম শিশু চাঁদপুরে উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ৬৮ Time View

ছবি-নতুনেরকথা।

কুমিল্লার খেটে খাওয়া দুই এতিম শিশুকে একটি অপহরন চক্র সুকৌশলে অপহরন করে লাকসাম এনে সেখান থেকে চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী আন্ত:নগর মেঘনা ট্রেনে উঠিয়ে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে নিয়ে আসে। পরে সেখানে রেল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারীরা সর্ট পড়ে বলে চাঁদপুর র্কোট স্টেশনে অবস্থানকারী সাবেক বিডিআরের ল্যানেছ নায়ক মো: ছানোয়ার হোসেন এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তারা রেলওয়ে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ঝাঁপটা পাটির কবল, অপহরনকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্বরোডস্থ এলাকার বাসিন্দা ফাহিম হোসেন (১১), পিতা মৃত শাহ্ আলম,মাতা আমেনা বেগম ও মো: আবদুল্লাহ (১১), পিতা মৃত মামুন মিয়া,মাতা বিউটি বেগম। এ দুই এতিম শিশুর পিতা না থাকায় তারা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা হাজিরায় বিশ্ব রোড থেকে ক্যান্টেনমেন এলাকার মধ্যে মিনি বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিল।

মঙ্গলবার কাজ না’পেয়ে কুমিল্লা বিশ্ব রোড এলাকায় তারা বসে ছিল। দুই শিশু ফাহিম হোসেন ও মো: আবদুল্লাহ জানান,সেখানে দুই ব্যাক্তি তাদের নাস্তা খাইয়ে বাসে ও ট্রেনে করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। স্টেশনে নামার পর তাদেরকে আর তারা দেখতে পায় না।

চাঁদপুর স্টেশনে অবস্থানরত সাবেক বিডিআরের ল্যানেছ নায়ক মো. ছানোয়ার হোসেন জানান,স্টেশনে তারা যখন নামে তখন তাদের সাথে দুই ব্যাক্তি ছিল। তারা রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনে রেল পুলিশের টহল দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তাদের সাথে কথা বলে তাদেরকে স্টেশনে বসিয়ে রাখা হয়। তাদরকে ভোরে আন্ত:নগর মেঘনা ট্রেনে লাকসাম হয়ে কুমিল্লা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।

পরে রাত দুইটায় শহরের এক জন সিএনজি চালক কালু মিয়া দুই শিশু ফাহিম হোসেন ও মো: আবদুল্লার কান্না শুনে দুই শিশুকে নাস্তা খাওয়ার জন্য চাঁদপুর হোটেলে এনে ৪০টাকা দিয়ে নাস্তা খাওয়াতে বলে যায়। পরে তাদের সাথে সেখানে দেখা হয় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক শওকত আলীর সাথে। তিনি দুই শিশুর কথা শুনে ৪০ টাকার সাথে আরো টাকা দিয়ে নাস্তা খাইয়ে রেল পুলিশের মাধ্যমে কুমিল্লা তাদের মায়ের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কুমিল্লায় আইদি পরিবহন প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, চাঁদপুরে মানববন্ধন

কুমিল্লা থেকে অপহরণ হওয়া দুই এতিম শিশু চাঁদপুরে উদ্ধার

Update Time : ১০:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লার খেটে খাওয়া দুই এতিম শিশুকে একটি অপহরন চক্র সুকৌশলে অপহরন করে লাকসাম এনে সেখান থেকে চাঁদপুর-চট্রগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী আন্ত:নগর মেঘনা ট্রেনে উঠিয়ে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনে নিয়ে আসে। পরে সেখানে রেল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারীরা সর্ট পড়ে বলে চাঁদপুর র্কোট স্টেশনে অবস্থানকারী সাবেক বিডিআরের ল্যানেছ নায়ক মো: ছানোয়ার হোসেন এ বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তারা রেলওয়ে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ঝাঁপটা পাটির কবল, অপহরনকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্বরোডস্থ এলাকার বাসিন্দা ফাহিম হোসেন (১১), পিতা মৃত শাহ্ আলম,মাতা আমেনা বেগম ও মো: আবদুল্লাহ (১১), পিতা মৃত মামুন মিয়া,মাতা বিউটি বেগম। এ দুই এতিম শিশুর পিতা না থাকায় তারা জীবিকা অর্জনের জন্য প্রতিদিন ১৫০ টাকা হাজিরায় বিশ্ব রোড থেকে ক্যান্টেনমেন এলাকার মধ্যে মিনি বাসের হেলপার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিল।

মঙ্গলবার কাজ না’পেয়ে কুমিল্লা বিশ্ব রোড এলাকায় তারা বসে ছিল। দুই শিশু ফাহিম হোসেন ও মো: আবদুল্লাহ জানান,সেখানে দুই ব্যাক্তি তাদের নাস্তা খাইয়ে বাসে ও ট্রেনে করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে। স্টেশনে নামার পর তাদেরকে আর তারা দেখতে পায় না।

চাঁদপুর স্টেশনে অবস্থানরত সাবেক বিডিআরের ল্যানেছ নায়ক মো. ছানোয়ার হোসেন জানান,স্টেশনে তারা যখন নামে তখন তাদের সাথে দুই ব্যাক্তি ছিল। তারা রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনে রেল পুলিশের টহল দেখতে পেয়ে পালিয়ে যায়।

পরে তাদের সাথে কথা বলে তাদেরকে স্টেশনে বসিয়ে রাখা হয়। তাদরকে ভোরে আন্ত:নগর মেঘনা ট্রেনে লাকসাম হয়ে কুমিল্লা পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।

পরে রাত দুইটায় শহরের এক জন সিএনজি চালক কালু মিয়া দুই শিশু ফাহিম হোসেন ও মো: আবদুল্লার কান্না শুনে দুই শিশুকে নাস্তা খাওয়ার জন্য চাঁদপুর হোটেলে এনে ৪০টাকা দিয়ে নাস্তা খাওয়াতে বলে যায়। পরে তাদের সাথে সেখানে দেখা হয় চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক শওকত আলীর সাথে। তিনি দুই শিশুর কথা শুনে ৪০ টাকার সাথে আরো টাকা দিয়ে নাস্তা খাইয়ে রেল পুলিশের মাধ্যমে কুমিল্লা তাদের মায়ের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করেন।