ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীর দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ৪৮ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেনের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে দাগনভূঞা পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আকবরের পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। আকবর হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই। নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে।

গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন আকবর হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহীন আক্তার।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে প্রবেশ করে তিন-চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে বাড়িতে বসতঘরের সামনে থাকা আকবর হোসেনের একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়ির কর্মচারী থাকার ঘরে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আকবর হোসেনের বাড়িতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তিনি শোনেননি। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি এ ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের দোষারোপ করা অতি সহজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তুলাতলী বাজার এলাকায় দলীয় একটি মশাল মিছিল শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়া পৌরসভার কোয়া নূর ই মদিনা জামে মসজিদের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

ফেনীর দাগনভূঞা বিএনপির সভাপতির প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

Update Time : ০৬:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র আকবর হোসেনের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি প্রাইভেট কার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে দাগনভূঞা পৌর এলাকার আলাইয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আকবরের পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে ছিলেন না। আকবর হোসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছোট ভাই। নাশকতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে তিনি কারাগারে।

গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন আকবর হোসেনের স্ত্রী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহীন আক্তার।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে একদল সন্ত্রাসী বাড়িতে প্রবেশ করে তিন-চারটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে বাড়িতে বসতঘরের সামনে থাকা আকবর হোসেনের একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া বাড়ির কর্মচারী থাকার ঘরে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর দিলে ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, আকবর হোসেনের বাড়িতে গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা তিনি শোনেননি। সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তিনি এ ঘটনার কথা জানতে পারেন। তিনি বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের দোষারোপ করা অতি সহজ। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার তুলাতলী বাজার এলাকায় দলীয় একটি মশাল মিছিল শেষ করে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁকে ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।