উড়োজাহাজে চড়ার সময় যাত্রীদের নানা অঘটন, বিস্ময়কর ঘটনার কথা শোনা যায়। এবার মাঝ আকাশে ঝগড়া বাধিয়ে দিল এক দম্পতি। আর তাতে অতিষ্ট হয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই অন্যত্র জরুরি অবতরণ করে তাদের নামিয়ে দিতে বাধ্য হলো কর্তৃপক্ষ।
ওই দম্পতির কারণে মিউনিখ থেকে ব্যাংককগামী লুফথানসার ওই ফ্লাইট বুধবার দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করাতে হয়। খবর টাইমস অব ই্ন্ডিয়ার।
পুলিশ জানিয়েছে, উড়োজাহাজে ৫৩ বছর বয়সি এক জার্মান নাগরিক তার স্ত্রীর সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে লাইটার দিয়ে একটি কম্বল পোড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে ওই দম্পতিকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, জার্মান ওই নাগরিকের স্ত্রী থাই নাগরিক। মাঝ আকাশে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হলে পাইলট নয়াদিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উড়োজাহাজটি বুধবার সকাল ১০টা ২৬ মিনিটে আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিষয়টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। পরে ওই দম্পতিকে সিআইএসএফ ও অভিবাসন কর্মকর্তারা নামিয়ে নিয়ে যান। বিষয়টি দিল্লি পুলিশের নজরে আনা হয়নি। বিমানবন্দরের টার্মিনালেই এর সমাধান করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, উড়োজাহাজে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শুরুর পর ওই স্ত্রী কেবিন ক্রুদের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। ওই নারী অভিযোগ করেছেন, তার স্বামী তাকে হুমকি দিচ্ছেন। এই অভিযোগের পর তাদের দুজনকেই মিউনিখে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মদ্যপ ছিলেন। ক্রুরা অভিযোগ করেছিলেন, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে চিৎকার করে ঝগড়া করছিলেন। তিনি স্ত্রীর দিকে খাবার ছুড়ে ফেলেন এবং একপর্যায়ে লাইটার দিয়ে একটি কম্বল পোড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। উড়োজাহাজের কর্মীরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে উড়োজাহাজটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়।
একটি তদন্তে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির স্ত্রী পৃথক টিকিটে ভ্রমণ করছিলেন। ঝগড়ার পর তিনি এয়ারলাইন্সকে একা ব্যাংককে তার যাত্রা চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু তাকে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লুফথানসা এয়ারলাইনস একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ওই বিবৃতিতে এয়ারলাইনসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, উড়োজাহাজে থাকা এক যাত্রীর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ফ্লাইটটি দিল্লির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ব্যাংককের ফ্লাইটটি পরে সামান্য দেরি করে যাত্রা শুরু করেছে। আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের জন্য নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়।