ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ উত্তর কোরিয়ার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৬০ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

উত্তর কোরিয়ার সদ্য উৎক্ষেপণ করা গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি একটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। আজ রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।

পিয়ংইয়ং গত মাসে সফলভাবে কক্ষপথে একটি সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনের কথা জানায়। তখন থেকে পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান-স্থাপনার ছবি তুলে পাঠাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া এমন দাবি করলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ছবি (স্যাটেলাইট ইমেজ) প্রকাশ করেনি।

গতকাল শনিবার উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে বলে, মহাকাশে পিয়ংইয়ংয়ের কোনো সম্পদের ওপর যেকোনো হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ আজ বলেছে, নবগঠিত কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটি ২ ডিসেম্বর থেকে তার মিশন শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বাধীন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।

গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহটি থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কাছে নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।

কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ং এখন আরও নিখুঁত সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহটি উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতাকে উন্নত করবে। বিশেষ করে, দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য সংগ্রহে। তা ছাড়া যেকোনো সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপগ্রহটি পিয়ংইয়ংকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়া ‘মালিগিয়ং-১’ নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি গত মাসে উৎক্ষেপণ করে। উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পরিপন্থী। উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের নিন্দা জানায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষ্য, সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং এই সহায়তা পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

কচুয়ায় এসএসসি ২০০০ ব্যাচ ফ্রেন্ডস ক্লাবের বন্ধুত্বদের মিলন মেলা

গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ উত্তর কোরিয়ার

Update Time : ০২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

অনলাইন নিউজ ডেস্ক :

উত্তর কোরিয়ার সদ্য উৎক্ষেপণ করা গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি একটি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে। আজ রোববার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।

পিয়ংইয়ং গত মাসে সফলভাবে কক্ষপথে একটি সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপনের কথা জানায়। তখন থেকে পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান-স্থাপনার ছবি তুলে পাঠাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া এমন দাবি করলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো ছবি (স্যাটেলাইট ইমেজ) প্রকাশ করেনি।

গতকাল শনিবার উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে বলে, মহাকাশে পিয়ংইয়ংয়ের কোনো সম্পদের ওপর যেকোনো হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ আজ বলেছে, নবগঠিত কৃত্রিম উপগ্রহ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটি ২ ডিসেম্বর থেকে তার মিশন শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বাধীন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।

গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহটি থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কাছে নবগঠিত প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।

কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পিয়ংইয়ং এখন আরও নিখুঁত সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম উপগ্রহটি উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতাকে উন্নত করবে। বিশেষ করে, দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য সংগ্রহে। তা ছাড়া যেকোনো সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে কৃত্রিম উপগ্রহটি পিয়ংইয়ংকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়া ‘মালিগিয়ং-১’ নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি গত মাসে উৎক্ষেপণ করে। উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পরিপন্থী। উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের নিন্দা জানায় জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষ্য, সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং এই সহায়তা পেয়েছে।