ঢাকা 12:16 am, Friday, 22 August 2025

কচুয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নৌকার প্রার্থী সেলিম মাহমুদের নির্বাচনী পথসভা

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:18:37 pm, Monday, 25 December 2023
  • 21 Time View

কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন- নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ।

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও কচুয়া আসনে নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙ্গালীর ইতিহাস। ছাত্রলীগরাই এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ৭৫ এর পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে। আমি গর্বিত এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে থাকতে পেরে। এখন দেশ দুইটি যুদ্ধে অবতীর্ন। আমরা প্রথম যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৎসাত করে দিয়েছে। এটা আমাদের প্রথম বিজয়। দ্বিতীয় যুদ্ধ আগামী ৭ জানুয়ারী। এদেশে ভোট উৎসব হবে। ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত কোটি কোটি ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকায় ভোট দিবেন। এই নৌকা মার্কার ভোট আমাকে নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দিবেন।

তিনি সোমবার বিকালে কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি ভোটার যখন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসবে মেতে উঠবে তখন দেশি-বিদেশী সকল মিডিয়া প্রচার করবেন তখনই সকল ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে। আমাদের লক্ষ্য প্রার্থীকে জিতানো নয়, কোটি কোটি ভোটার উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে ভোট দেওয়া। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে। আমি কচুয়ার ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে রাজনীতি শুরু করেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩ কর্নধার (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন) ঐতিহাসিক দিনে আমার নির্বাচনী প্রচারনায় এসেছে আজকের দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি এই উপজেলার তরুণদের জাগ্রত করতে পেরেছি। আমার চাকরি জীবনের ১৬ বছর থাকতেই আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছি। ৭ তারিখের প্রতিটি ভোট জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। এ রাষ্ট্র শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।

কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে পথ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব, প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক ড. সেলিম মাহমুদের এলাকায় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে পারছি এটাই আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের নেত্রী প্রায় বলেন, কেবল ভালো কর্মী হলে চলবে না, ভালো ছাত্র হতে হবে। এ জ¦লন্ত উদাহরন আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান সেলিম মাহমুদ। কচুয়াবাসী ধন্য এমন একজন মানুষকে বেছে নিতে যাচ্ছেন কচুয়ার শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্পাঞ্চলসহ সকল ক্ষেত্রে ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলতে পারবে। ড. সেলিম মাহমুদ তারুণ্যের জন্য নির্ভরতার নাম। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ সকল তরুণদের একত্রিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ইশতেহারের সদস্য সচিব বেছে নিয়েছে আপনাদেরই এলাকার কৃতি সন্তান ড. সেলিম মাহমুদ কে। কচুয়াবাসীর প্রতি আহ্বান রাখবো, সকল ভোটারদের কাছে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ভোটারদেরকে সেলিম মাহমুদের পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। আগামীতে আপনারা এ পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করবেন সে আশা ও বিশ^াস আমার আছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, আপনাদের কৃতি সন্তান শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. সেলিম মাহমুদ আমার এবং সভাপতির সরাসরি শিক্ষক। তাঁর ছাত্র হয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করে তাঁকে এ পদে অধিষ্ঠিত করেছেন। ড. সেলিম মাহমুদ জাতীয়নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু তিনি এখনো নিজেকে নেত্রীর কর্মী হিসাবে মনে করেন। কচুয়ার আওয়ামী লীগ তারুণ্য নিয়ে সাজানো। ৭ তারিখ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দেশ কোন দিকে যাবে, প্রমাণ দিতে হবে এ কচুয়ার মাটি সেলিম মাহমুদের ঘাঁটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগসহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

জামায়াতের শর্ত না মানলে এবারও নির্বাচন হবে না : হামিদুর রহমান

কচুয়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নৌকার প্রার্থী সেলিম মাহমুদের নির্বাচনী পথসভা

Update Time : 11:18:37 pm, Monday, 25 December 2023

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও কচুয়া আসনে নৌকার প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। জাতির পিতার হাতে গড়া এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙ্গালীর ইতিহাস। ছাত্রলীগরাই এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ৭৫ এর পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী তাদের জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে। আমি গর্বিত এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে থাকতে পেরে। এখন দেশ দুইটি যুদ্ধে অবতীর্ন। আমরা প্রথম যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নৎসাত করে দিয়েছে। এটা আমাদের প্রথম বিজয়। দ্বিতীয় যুদ্ধ আগামী ৭ জানুয়ারী। এদেশে ভোট উৎসব হবে। ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত কোটি কোটি ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকায় ভোট দিবেন। এই নৌকা মার্কার ভোট আমাকে নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দিবেন।

তিনি সোমবার বিকালে কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের দিন লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি ভোটার যখন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট উৎসবে মেতে উঠবে তখন দেশি-বিদেশী সকল মিডিয়া প্রচার করবেন তখনই সকল ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে। আমাদের লক্ষ্য প্রার্থীকে জিতানো নয়, কোটি কোটি ভোটার উপস্থিত হয়ে শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে ভোট দেওয়া। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে। আমি কচুয়ার ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে রাজনীতি শুরু করেছি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩ কর্নধার (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন) ঐতিহাসিক দিনে আমার নির্বাচনী প্রচারনায় এসেছে আজকের দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি এই উপজেলার তরুণদের জাগ্রত করতে পেরেছি। আমার চাকরি জীবনের ১৬ বছর থাকতেই আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছি। ৭ তারিখের প্রতিটি ভোট জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। এ রাষ্ট্র শেখ হাসিনার বাংলাদেশ।

কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে পথ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব, প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক ড. সেলিম মাহমুদের এলাকায় নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে পারছি এটাই আমার জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের নেত্রী প্রায় বলেন, কেবল ভালো কর্মী হলে চলবে না, ভালো ছাত্র হতে হবে। এ জ¦লন্ত উদাহরন আপনাদের এলাকার কৃতি সন্তান সেলিম মাহমুদ। কচুয়াবাসী ধন্য এমন একজন মানুষকে বেছে নিতে যাচ্ছেন কচুয়ার শিক্ষা, চিকিৎসা, শিল্পাঞ্চলসহ সকল ক্ষেত্রে ভাগ্য পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলতে পারবে। ড. সেলিম মাহমুদ তারুণ্যের জন্য নির্ভরতার নাম। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ সকল তরুণদের একত্রিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ ইশতেহারের সদস্য সচিব বেছে নিয়েছে আপনাদেরই এলাকার কৃতি সন্তান ড. সেলিম মাহমুদ কে। কচুয়াবাসীর প্রতি আহ্বান রাখবো, সকল ভোটারদের কাছে নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ভোটারদেরকে সেলিম মাহমুদের পক্ষে ভোট বিপ্লব ঘটাতে হবে। আগামীতে আপনারা এ পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পাস করবেন সে আশা ও বিশ^াস আমার আছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেছেন, আপনাদের কৃতি সন্তান শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ড. সেলিম মাহমুদ আমার এবং সভাপতির সরাসরি শিক্ষক। তাঁর ছাত্র হয়ে পড়াশোনা করার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ সৃষ্টি করে তাঁকে এ পদে অধিষ্ঠিত করেছেন। ড. সেলিম মাহমুদ জাতীয়নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু তিনি এখনো নিজেকে নেত্রীর কর্মী হিসাবে মনে করেন। কচুয়ার আওয়ামী লীগ তারুণ্য নিয়ে সাজানো। ৭ তারিখ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। দেশ কোন দিকে যাবে, প্রমাণ দিতে হবে এ কচুয়ার মাটি সেলিম মাহমুদের ঘাঁটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগসহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।