কচুয়া আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদকে ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে দারাশাহী তুলপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সুমনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শহীদুল্লাহ বিএসসি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিলাল হোসেন পাটোয়ারী, মফিজুর রহমান,হাজী আব্দুল কাদের, ইউনুস পাটোয়ারী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য তৌহিদুর রহমান মুন্সি,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি.সোহাগ হোসাইন, ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল হান্নান, মোখলেছুর রহমান,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মোস্তফা কামাল,ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান স্বপন, রাসেল আহমেদ ইমন, রুবেল আহমেদ প্রধানসহ প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ আসছে আগামী ১১ মে কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটওয়ারীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইয়ুব আলী পাটওয়ারী বলেন , আমি আপনাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ। আপনারা ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ একত্রিত হয়ে আজকের এই মতবিনিময় সভায় আমাকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,সে সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমার নেতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও এ আসনের এমপি ড. সেলিম মাহমুদ এর কাছে আপনাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবো।নেতার গ্রীন সিগন্যাল পেলে আপনাদের সাথে নিয়ে মাঠে নেমে পড়বো।
সেলিম মাহমুদের কাছ থেকে নির্ধারিত দিন ও সময় নিয়ে সহদেবপুর পশ্চিম ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে প্রিয় নেতাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সে সংবর্ধনা হবে নজরকাড়া সংবর্ধনা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে কচুয়াবাসীকে তাক লাগিয়ে দিবে এ ইউনিয়নবাসী। আমার আশা ও বিশ্বাস নেতা আমাকে বিমুখ করবে না। দলের দু:সময়ে কচুয়ায় আওয়ামী লীগের আমি হাল ধরেছি। দলের দুর্দিনের নেতা আমি। দলের সুদিনে নামধারী অনেক নেতা দলে ভীরে অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। আমি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী চল্লিশ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছি। আজ দলের সুদিনে আমার জীবন সন্ধিক্ষণে এসে ইউনিয়ন বাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবে কচুয়ার অভিভাবক সেলিম মাহমুদ এমপি। আমার সে আস্থা ও বিশ^াস নেতার উপর আছে।