কচুয়ায় গবাদি পশুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চক্রা মুন্সি বাড়ির নাসির উদ্দিন মিন্টুর খামারে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সরেজমিনে গেলে খামারের মালিক নাসির উদ্দিন মিন্টু জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে পাশ^বর্তী বাড়ির আলমগীর ও তার ছেলে ওমর ফারুক রুবেল দলবল নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার ছাগলের খামারে বাহির থেকে তালা দিয়ে খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং খামারের পাশে মাছের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। তালাবদ্ধ ঘরের ভিতর থেকে আগুন দেখতে পেয়ে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার খড় ও পুকুরের মাছ বাবদ ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কচুয়া থানা পুলিশকে অবগত করলে এসআই মাহাদী হাসান , সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুভাষ ও ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহাগ হোসেন মুন্সি হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি আরো জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে আমার চাষ করা ঘাসের জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে আলমগীর হোসেন গং আমাকে মারধর করে ও গবাদিপশুর ক্ষতিসাধন করবে বলে হুমকি প্রদর্শন করায় আমি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
স্থানীয় অধিবাসী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, সমাজ সেবক জাকির হোসেন, শামসুল আলম মুন্সিসহ অনেকেইে জানান, খামারের পাশেই ঘাসের চাষ করা জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিন মিন্টুর সাথে আলমগীর হোসেন গংদের বিরোধ চলে আসছে। নাসির উদ্দির মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও নিন্দনীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেনের মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় তার বাড়িতে গেলে তাকে না পাওয়া তার পিতা অহিদুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে নাসির উদ্দিনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মিন্টুর খামারে অগ্নিসংযোগ ও পুকুরে বিষ প্রয়োগের বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।