কচুয়া কাদলা ইউনিয়নের দোঘর মহিলা মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে পুনরায় মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন নয়ন নির্বাচিত হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে উপ-রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন) মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে প্রবিধানমালা ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট প্রবিধান অনুসারে মোহাম্মদ জাহিদ হোসেনকে সভাপতি করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলো প্রতিষ্ঠাতা মোঃ আলমগীর হোসাইন, দাতা সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিন, অভিভাবক সদস্য বোরহান উদ্দিন, মইন উদ্দিন, মাসুদ, জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস, শিক্ষক প্রতিনিধি মোহাম্মদ দুলাল মিয়া, মোহাম্মদ নোমান, তাছলিমা খাতুন, সদস্য সচিব মাদ্রাসার সুপার/ভারপ্রাপ্ত সুপার।
প্রসংগত: মাদ্রাসার নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ৯ জানুয়ারী মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আবু নোমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগের জন্য আবেদন করলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসার ২১ জানুয়ারী ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার লক্ষ্যে তফসিল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নিয়মানুসারে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রিজাইডিং অফিসার আলী আশ্রাফ খানের সভাপতিত্বে সভাপতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন নয়ন ব্যতিত অন্য কোন প্রার্থীর প্রস্তাব না থাকায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি নব নির্বাচিত কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করলে শিক্ষাবোর্ড ২৮ ফেব্রুয়ারি আগামী দুই বছরের জন্য এ কমিটিকে অনুমোদন দেয়।
নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন নয়ন জানান, আমার মেয়াদকালীন সময়ে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে খন্ডকালীন শিক্ষকদের বকেয়া বেতন বাবদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছি। এছাড়া ২ লক্ষ টাকার ফার্নিসার, একটি স্টীলের আলমারি, একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার মাদ্রাসায় প্রদান করেছি। আমি ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করি।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমানে কাদলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি,এছাড়াও ঢাকাস্থ কচুয়া সমিতি ও চাঁদপুর সিমিতর আজীবন সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছি। মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগীতা ও পরামর্শ কামনা করছি এবং পশ্চাদপদ মেয়েদের শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে দোঘর মহিলা মাদ্রাসাকে একটি শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসাবে গড়ে তুলতে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও করবো। তাই অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সকলের সহযোগীতা কামনা করছি। সম্প্রতি একটি কু-চক্রিমহল প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি নিন্দনীয়। মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন নয়নকে দোঘর মাদ্রাসার সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত করায় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।