ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ে না দেয়ায় কাঁচি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ৬১ Time View

বিয়ের জন্য বার বার বাবা-মাকে বলার পর বিয়ে না দেয়ায় মা রানু বেগম (৫৭) কে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে ঘাতক ছেলে মো. রাসেল (২২)। এরপর ঘরে থেকে মোবাইল ফোনে মার হত্যার ঘটনা বাবা আতর খাঁনকে জানায় সে। কিছুক্ষণ পরে আতর খাঁন কাজ থেকে ঘরে এসে স্ত্রীর নিথরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘাতক ছেলে রাসেলের বরাত দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়ীতে। হত্যার শিকার রানু বেগম ওই বাড়ীর আতর খাঁনের স্ত্রী এবং ঘাতক রাসেলের পিতা।

হত্যার ঘটনার মাত্র ৪ ঘন্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনসহ চৌকস দল রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। রাসেলের দেয়া তথ্যে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাঁচি ও রক্তমাখা লুঙ্গি ও সার্ট উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) ছেলেকে হত্যা মামলার আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন পিতা আতর খাঁন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস যাবৎ উশৃঙ্খল চলাফেরা করত। তার পিতা-মাতা নিষেধ করলেও রাসেল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মারধর করে। বিষয়টি তার পিতা আতর খাঁন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করলে আসামী তার পিতা-মাতাকে প্রাণে হত্যা করবে বলে ভয়-ভীতি দিয়ে আসছিল। ২৬ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে রাসেলের পিতা আতর খাঁন কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর মাকে ঘরে একা পেয়ে সে এই হত্যাকান্ড ঘটায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Popular Post

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে হাইমচর উপজেলায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বিয়ে না দেয়ায় কাঁচি দিয়ে জবাই করে মাকে হত্যা করে ছেলে

Update Time : ০৬:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিয়ের জন্য বার বার বাবা-মাকে বলার পর বিয়ে না দেয়ায় মা রানু বেগম (৫৭) কে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে ঘাতক ছেলে মো. রাসেল (২২)। এরপর ঘরে থেকে মোবাইল ফোনে মার হত্যার ঘটনা বাবা আতর খাঁনকে জানায় সে। কিছুক্ষণ পরে আতর খাঁন কাজ থেকে ঘরে এসে স্ত্রীর নিথরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘাতক ছেলে রাসেলের বরাত দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়ীতে। হত্যার শিকার রানু বেগম ওই বাড়ীর আতর খাঁনের স্ত্রী এবং ঘাতক রাসেলের পিতা।

হত্যার ঘটনার মাত্র ৪ ঘন্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনসহ চৌকস দল রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেন। রাসেলের দেয়া তথ্যে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাঁচি ও রক্তমাখা লুঙ্গি ও সার্ট উদ্ধার করে। এই ঘটনায় শনিবার (২৭ এপ্রিল) ছেলেকে হত্যা মামলার আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন পিতা আতর খাঁন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস যাবৎ উশৃঙ্খল চলাফেরা করত। তার পিতা-মাতা নিষেধ করলেও রাসেল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মারধর করে। বিষয়টি তার পিতা আতর খাঁন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করলে আসামী তার পিতা-মাতাকে প্রাণে হত্যা করবে বলে ভয়-ভীতি দিয়ে আসছিল। ২৬ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে রাসেলের পিতা আতর খাঁন কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর মাকে ঘরে একা পেয়ে সে এই হত্যাকান্ড ঘটায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।