ভারতের কংগ্রেস পার্টির নেত্রী ও রাজ্যসভা সদস্য সোনিয়া গান্ধী, তার পুত্র ও লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ জুন) দিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে নয়াদিল্লি সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তিনি দিল্লি পৌঁছান। আজ সোমবার বিকালে তার দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে সোমবার সকালে এই সাক্ষাতের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক হয়। বৈঠক দুটির বিষয়ে পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছে। সে দেশের চরম অর্থনৈতিক ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি এবং পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার দক্ষতা ও বিনিয়োগ সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথাও জানান হাছান।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের ইউনিয়ন মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠকটিও হৃদ্যতাপূর্ণ ছিল বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এস জয়শঙ্করের আন্তরিকতার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পুনরায় মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান ও একসঙ্গে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে এবং ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জ্যেষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সঙ্গে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ৯৬ বছর বয়সী এল কে আদভানির সঙ্গে স্মৃতিচারণ ও ব্যক্তিগত আলাপ করেন।
এদিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে শেখ হাসিনা ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি এ জন্য প্রয়োজনীয় ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনার কথাও জানান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে তার দেশে বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন।