গাজায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের পাশাপাশি দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইল-হিজবুল্লাহ সংঘর্ষ আরও একটি বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হোচস্টেইন ইসরাইলিদের কাছ থেকে একটি বার্তা নিয়ে এসেছিলেন এবং সেই বার্তাটি ছিল মূলত একটি হুমকি। আর তা হলো- ইসরাইল এই যুদ্ধকে প্রসারিত করার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে এবং সময়ও ফুরিয়ে আসছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরির কাছে এই বিবৃতি দিয়েছেন। আর নাবিহ বেরি মূলত হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহর সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনা করে না, তাই নাবিহ বেরি লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছেই বার্তাটি পাঠিয়ে দেন।
আর এর প্রতিক্রিয়া ছিল হিজবুল্লাহর সেই ড্রোন ফুটেজ।
সম্প্রতি হিজবুল্লাহ ড্রোনের মাধ্যমে ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফাতে তাদের সংবেদনশীল সামরিক এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে এবং তা প্রকাশ করেছে। এটি শুধু ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, জনসাধারণের প্রতিও একটি বার্তা ছিল যে, হিজবুল্লাহ হাইফাতে আঘাত হানতে সক্ষম এবং সেখানকার স্পর্শকাতর স্থাপনাগুলো তাদের লক্ষ্যবস্তুর আওতায় রয়েছে।
এটি সত্যিই একটি প্রতিরোধমূলক বার্তা, কারণ এটি ইসরাইলিদের এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, ‘আমরা চাইলেই তোমাদের ভূখন্ডের সামরিক এবং বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানতে পারি’।
এছাড়া হিজবুল্লাহ সূত্রে এটাও স্পস্ট যে, এটি কোনো কাকতালীয় বিষয় নয় এবং হিজবুল্লাহ হাইফাকে বেছে নিয়েছে কারণ, এটি লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে।