শিরোনাম:
মাত্র ২৩ বছরে ২৫০ কোটি টাকার মালিক, ছাড়িয়ে গেলেন শাহরুখকে দেশে ৩ মাসে বেকারত্ব বেড়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার ট্রেনের টিকিটে বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন যাত্রীরা মতলব উত্তরে কিশোর মাদক, কিশোর গ্যাং এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক র‍্যালি মতলব উত্তর উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে থাকছে না অধিভুক্ত ৭ কলেজ বেলচোঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ বেতন না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান-প্রাথমিক শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ ফেলে ৩১ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়বে-মোতাহার হোসেন পাটওয়ারী

চাঁদপুরে গৃহবধু কোহিনুর হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪
ছবি-ত্রিনদী

চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা কোহিনুর বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামী নাজমা আক্তার নয়নসহ দুই আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে দুই আসামীকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

রবিবার (৩০ জুন) বিকেলে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এই রায় দেন।

হত্যার শিকার কোহিনুর বেগম রহমতপুর আবাসিক এলাকার প্রবাসী আব্দুল মান্নান খানের স্ত্রী। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নাজমা আক্তার নয়ন (৪২) ওই এলাকার ভুঁইয়া বাড়ীর আলমগীর হোসেন ফারুকের স্ত্রী এবং অপর আসামী রফিক ওরফে (দেন্ধা রফিক) একই বাড়ীর আবদুর রশিদের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, প্রধান আসামী নাজমা আক্তারের কাছ থেকে হত্যার শিকার কোহিনুর বেগম নগদ ৫লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। এই টাকা দীর্ঘদিন না পেয়ে ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে কোহিনুর নাজমার বাড়িতে টাকার জন্য গেলে নাজমা ও সহযোগী রফিক তাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে ফিটিয়ে কোহিনুরকে হত্যা করে।

এই ঘটনায় পরদিন ২৩ আগষ্ট চাঁদপুর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে কোহিনুর বেগমের আপন ভাই আবদুল মালেক মোহন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা শামীম। তিনি এই ঘটনায় জড়িত আসামী নাজমা আক্তার নয়ন ও রফিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেন এবং ২০১৬ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি আদালতে চলমান অবস্থায় ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামীদের অপরাধ স্বীকার, স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আদালতে এই রায় দেন। আসামীরা পলাতক ছিলেন। তাদের অনুপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম।

হত্যার শিকার কোহিনুর বেগমের বোন বিউটি বেগম জানান, বোনকেত আর ফিরে পাওয়া যাবে না। কিন্তু আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমার পরিবার ও বোনের স্বামী এবং সন্তানরা সন্তুষ্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১