ফাইল ফটো
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিজের চেকিংয়ের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া। তার শঙ্কা, এভাবে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে যে কারও স্পর্শকাতর তথ্য চলে যেতে পারে।
সোমবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘গতকালকের ঘটনায় এটা বুঝতে পারলাম যে, পিস্তল কেন, মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই। যেভাবে মুহূর্তের মধ্যেই দেশের প্রধান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের সিসিটিভি ফুটেজ এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত কারও হাতে পৌঁছে গেল, তা রীতিমতো ভয়ংকর। এরা চাইলে যেকোনো দেশি বা বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, গুপ্তহত্যাকারী, কিংবা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আমাদের রিয়েল-টাইম লোকেশন, শিডিউল, সেনসিটিভ ইনফরমেশনসহ অর্থ কিংবা স্বার্থের বিনিময়ে যেকোনো কিছু পাচার করে দিতে পারে।’
রোববার সকালে সরকারি সফরে টার্কিস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মরক্কো যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দরের ৯ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় স্ক্যানিংয়ের সময় আসিফ মাহমুদের ব্যাগ থেকে এ্যামোনেশনের ম্যাগজিন পাওয়া যায়। উপদেষ্টার দাবি, তার বৈধ অস্ত্রের একটি ম্যাগজিন ভুলক্রমে ব্যাগে থেকে গিয়েছিল। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বিমানবন্দরের চেকিংয়ে এ্যামোনেশনের ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদবিমানবন্দরের চেকিংয়ে এ্যামোনেশনের ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, ‘আমি সরকারে আছি। আমার সাথেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা সহজেই বোঝা যায়। এই তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তিই বা কী?’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘যাদের দায়িত্ব শত্রুর ওপর নজরদারি করে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারা এখন নিজেদের সব শক্তি ও জনগণের অর্থ ব্যয় করছে দেশের নাগরিকদের ওপর নজরদারিতে, টার্গেটেড চরিত্রহননে। লেজিট কিছু না পেয়ে উদ্ভট ও হাস্যকর বিষয় নিয়ে আক্রমণ করছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণ-অভ্যুত্থানের কিছু তথাকথিত অংশীজন এবং হাসিনাপুত্রের বক্তব্যে এখন আর কোনো পার্থক্য থাকছে না।’
বাংলাদেশের জনগণ এখন পূর্বের যেকোনো সময়ের থেকে বেশি সচেতন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে, কারা ঘটিয়েছে তা কারোই বোঝার বাকি থাকার কথা না।’