মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্ :
গত ২৪ জুন সোমবার বেলা সাড়ে এগারোর দিকে নিজ বাসায় বিদ্যুস্পৃষ্টে দগ্ধ হন কিশোরী ফাহিমা আক্তার (১২)। তাৎখনিক স্থানীয়রা ছুটে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে।
সেখানে টানা ৮দিন আইসিইউতে ছিলেন ফাহিমা। তারপরও বাঁচানো গেল না তাকে। স্বজন ও চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফাহিমা। তার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল।
এ দিন রাতেই জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়। ফাহিমা আক্তার হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের প্রফেসর পাড়ায় সানা ডাক্তারের তৃতীয় তলার একটি ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করে আসছে। কাজের সুবাদে তার বাবা আবুল কালাম এক যুগেরও বেশি সময় টোরাগড় গ্রামে বসবাস করছেন।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, শিক্ষক মুফতি মো. আমানুল্লাহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন বিকট শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান সানা ডাক্তারের ভবনে। ওই সময়ে তারা দেখেন ভবনের তৃতীয় তলায় আবুল কালামের বাসার বারান্দায় ধোয়া অন্ধকারাছন্ন। তখন ডাক-চিৎকারে তারা বাসায় গিয়ে দেখেন ফাহিমা দগ্ধ হয়েছেন।
এসময় ফাহিমাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেপার করেন। স্থানীয়রা জানান, বাসার সাথে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। সেখান থেকেই দুর্ঘটনাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফাহিমা দগ্ধ হন।