সাবেক সরকার হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কচুয়ার ৩ মেধাবী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
জানাগেছে, ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন শেষে বাংলাদেশের পতকা হাতে নিয়ে বিজয়ী মিছিলে ঢাকা টঙ্গীর বিএনএস’র সেন্টার ব্রিজের উপর সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র সামিউ আমান নুর (১৩) মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে সঙ্গাহীন অবস্থায় টঙ্গী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করেন।
সে কচুয়া উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের জামায়াত নেতা আমান উল্লাহ’র ছেলে। তার লাশ নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। শিক্ষার্থী সামিউ আমান নুর টঙ্গী এলাকার সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যা নিকতনের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র।
একই দিনে কচুয়া উপজেলার উজানী মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাও. আব্দুর রহমানের ছেলে খোবায়িদ হোসেন (২০) যাত্রাবাড়ি মিছিলে অংশগ্রহন করলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। সাইনবোর্ড এলাকায় খোবায়িদ হোসেন যে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন সেখানে লাশ দাফন করা হয়।
১৮ জুলাই শুক্রবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে কচুয়ার হাসান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।
হাসান বাড্ডা এলাকায় একটি লাইব্রেরীতে চাকুরী করতো। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়।
২০ জুলাই রবিবার কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি সিকদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। ওই গ্রামের কবির হোসেনের একমাত্র ছেলে হাসান।