শিরোনাম:
দেশগাঁও জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ  হাজীগঞ্জে সাড়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ হাজীগঞ্জের রামপুরে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, জড়িয়ে পড়লো কয়েকটি গ্রাম হাজীগঞ্জে সিগারেট পান করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশতাধিক উৎসবমূখর পরিবেশে হাজীগঞ্জে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর উৎসবমুখর পরিবেশে চাঁদপুরেও উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর আওয়ামী লীগের মার্কা আগামী নির্বাচনে থাকবে না-নাহিদ হাজীগঞ্জের মধ্য বড়কুল বিএনপির ইফতার মাহফিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে দাঁড়ালেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মতলব দক্ষিণে তালিকাভুক্ত দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

স্বামীর কিডনি বিক্রয় করে টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালালো স্ত্রী

ত্রিনদী অনলাইন
ত্রিনদী অনলাইন
আপডেটঃ : সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
প্রতীকী ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক নারী তাঁর স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করেন। স্বামীকে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই অর্থে তাঁদের মেয়ের পড়াশোনা ও বিয়ের খরচ চলবে। কিন্তু কিডনি বিক্রির পর সেই নারী পুরো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।

রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শঙ্করাইলের এক নারী তাঁর স্বামীকে বুঝিয়ে বলেন, মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য টাকা জমানো দরকার। তাই তিনি স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে উৎসাহিত করেন।

স্ত্রীর অনবরত অনুরোধে স্বামী শেষ পর্যন্ত রাজি হন। এক বছরের চেষ্টার পর তিন মাস আগে একজন ‘ক্রেতা’ খুঁজে পান তাঁরা। ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে নিজের একটি কিডনি বিক্রি করেন স্বামী। তিনি আশা করেছিলেন, এতে পরিবারের দারিদ্র্য কিছুটা হলেও কমবে এবং মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা সহজ হবে। কিন্তু তিনি জানতেন না, তাঁর স্ত্রীর মনে অন্য কিছু চলছে!

স্বামী যখন অর্থের জন্য নিজের কিডনি বিক্রি করছেন, তাঁর স্ত্রী তখন ফেসবুকে এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই ব্যক্তি ব্যারাকপুরের এক চিত্রশিল্পী। সম্পর্ক গভীর হওয়ায় কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা নিয়েই তাঁরা পালিয়ে যান।

ঘটনার পর হতভাগ্য স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের সন্ধানও পান। পরে পরিবারের সদস্য, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ১০ বছরের মেয়েকে নিয়ে সেখানে হাজির হন তিনি।

তবে ব্যারাকপুরে চিত্রশিল্পীর সেই বাড়িতে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনোভাবেই দরজা খোলেননি স্ত্রী। স্বামীর অনুরোধ, শ্বশুর-শাশুড়ির কান্না, এমনকি নিজের মেয়ের আহ্বানেও তিনি বাইরে আসেননি। উল্টো স্বামীকে ডিভোর্সের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যা পারো, করো!’

ভারতে ১৯৯৪ সাল থেকে মানব অঙ্গ বিক্রি অবৈধ হলেও অঙ্গদাতার সংকটের কারণে এই অনৈতিক কাজ এখনো চলে আসছে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।

এই ঘটনায় হতভাগ্য স্বামী এখন আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাঁর কিডনি গেছে, স্ত্রীও চলে গেছেন এবং যে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটিও ভেঙে গেছে!


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

ফেসবুক

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০