বাংলাদেশে আসা ১৬০ জন আউলিয়ার মধ্যে সুলতানুল আউলিয়া হযরত পীর শাহ শরীফ বোগদাদী (রহ.) এদের মধ্যে একজন ছিলেন। প্রায় সাড়ে ৮শ বছর আগে ধর্ম প্রচার করতে তিনি সু-দূরর ইয়েমেন থেকে বাংলাদেশে আসেন।
ইসলাম প্রচারের জন্য চাঁদপুর আর কুমিল্লার মধ্যবর্তী অঞ্চল মনোহরগঞ্জ আর শাহরাস্তির সর্বশেষ সীমানন্তবর্তী বনজঙ্গল আর পাহাড় পর্বতে ঘেরা নাটেশ্বরে আস্থানা গাড়েন।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, তিনি শাহ শরীফ মসজিদে নামাজ পড়তেন এবং মৃত্যুর পর মসজিদের পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এখন সুলতানুল আউলিয়া পীর শাহ শরীফ বোগদাদী মাজার নামে পরিচিত।
তথ্যমতে সেই সময় হায়াত আবদে করিম নামে অবিবাহিত এক মুসলিম ব্যক্তি ছিলেন, যিনি রাজা নাটেশ্বরের কর্মচারি ছিলো্।
ইসলাম প্রচারের জন্য পীর শাহ শরীফ বোগদাদী নাটেশ্বরে আগমণ ঘটলে রাজা নাটেশ্বর তার হাতে ইসলামগ্রহণ করেন।
নিঃসন্তান হায়াত আবদে করিম নিজের বেতনের টাকা দিয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর সময় লাগিয়ে নির্মাণ করেছিলেন একটি ঐতিহাসিক শাহী জামে মসজিদটি।
সেখানে রয়েছে কয়েক শত একরের একটি বিশাল দিঘি। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। এ ছাড়াও মসজিদের পাশে রয়েছে হাফেজিয়া মাদরাসা।
বনজঙ্গলে ঘেরা, পশু-পাখির কলকাকলী আর নদীভরা অঞ্চলটি চমৎকার পরিবেশে ঘেরা।
প্রতিদিনি হাজার হাজার দর্শনার্থী এই শরীফপুর গ্রামেই অবস্থিত শাহ শরীফ বোগদাদীর মাঝার জিয়ারত, মসজিদ পরিদর্শন ও বিশাল দিঘী দেখতে আসনে।