ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া:
কচুয়া উপজেলার অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনপুরা ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা এবারো পূর্বের ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে। এবারের আলিম পরীক্ষায় ১ জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও ফাজিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী।
আলিম পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে ইবরাত জাহান নাবিলা। ফাজিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন , শিক্ষার্থী রুবাইয়া আক্তার , শাহেলা আক্তার ও নাঈমা আক্তার।
মনপুরা ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠা পর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে লেখাপড়া মানোন্নয়নে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েকবার সাফল্য অর্জন করেছেন। তাই ধারাবাহিকতা এবারও দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও জিপিএ ৫ পেয়েছেন অনেক শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক প্রচেষ্টা এবং ক্লাস নির্ভর লেখাপড়ার পাঠদানে মান্নোয়নের ফলে প্রতি বছরই এ প্রতিষ্ঠান থেকে দাখিল, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় অসাধারণ ও অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে। অতীতের মতো এবছরও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আলিম পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে একজন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি ও ফাজিল পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি জিপিএ ৫ পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা ধরে রেখেছে। আমাদের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা লেখাপড়ার মানোন্নয়নে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইসহাক খান বলেন, মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্যে অর্জন করে উপজেলা পর্যায়ে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে মনপুরা ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা। এ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদ ও অভিভাবক মহলের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি আরও বলেন, মাদরাসার ধারাবাহিক কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে তিনি সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবক মহলের কাছে সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।