শনিবার (২৪ মে) দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার তোপের মুখে কলেজ থেকে বিতাড়িত হন অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া। দীর্ঘদিন পরে তিনি এলাকার বিএনপি, জামায়াত, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সাথে নিয়ে শনিবার সকাল ৯ টায় পুনরায় যোগদান করতে কলেজে আসেন।
পরে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি ও হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক আবু সাইদ বিজয়ের সাথে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কলেজের দুই শিক্ষক আবু সাঈদ বিজয় ও কামরুন নাহার এবং ৫ শিক্ষার্থী মিরান, জিহাদ, মিনহাজ, ইমন গাজীসহ ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৭ জনকে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনতে উপজেলা সহকারী কমিশনার নিরুপম মজুমদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ অলি উল্ল্যাহসহ সেনাবাহিনীর ফোর্স ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
আহত শিক্ষক আবু সাঈদ বিজয় জানান, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতির মাধ্যমে অধ্যক্ষ যোগদান করার নিয়ম। তিনি তা না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমি ও আমার সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছেন।
এ বিষয়ে যোগদান করতে আসা অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া জানান, তিনি যোগদান করতে আসলে উপাধ্যক্ষ কে পান নি। উপাধ্যক্ষ সেখানে উপস্থিত না থেকে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছেন। বাইরে কোন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন কিনা তা জানেন না বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় তিনি কোন রাজনৈতিক প্রভাব খাটান নি বলেও দাবি করেছেন।
শাহরাস্তি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে কোন পক্ষ অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি।