বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মনোরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মী সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন ।
এসময় তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের ৩৬ দিনের আন্দোলন আমাদের পুনরায় স্বাধীনতা ফিরে দিয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে আমার প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে অত্যাচার ও নির্যাতন এবং আয়না ঘরে নিয়ে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করে ঢিল মেরে তার কোমর চুরমার করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গত ১৫টি বছর আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রেখে বিনা চিকিৎসায় অত্যাচার নির্যাতন করেছে, এইগুলো বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যাইনি। কচুয়ার সাবেক সদস্য ড.মহীউদ্দীন খান আমাকে ৩৬টি মিথ্যা মামলা দিয়ে বছর পর বছর আমার পরিবার কাছ থেকে বিছিন্ন করে কারাগারে রেখে অত্যাচার ও মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে। এই অত্যাচারের নির্যাতনের দিনগুলোর কথা কচুয়ার মানুষ কখনো ভুলবে না। অ্যায় ভাবে আমার কচুয়ার নেতাকর্মীদের পিটিয়েছে,অত্যাচার করেছে,জেল খাটিয়েছে, জমিজমা দখল করেছে, আমি ওই সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করবো। ৯৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চ তৈরি করে মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর কচুয়া আসনে আমার প্রাণপ্রিয় জনগণ ওই খানের ভাই মেজবাহ উদ্দিনকে পরাজিত করে আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। আমার জন্য কচুয়ার জনগন সবসময় ঐক্যবদ্ধ রয়েছে,সেই বিশ^াস আমার আছে।
তিনি আরো বলেন, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান আমাকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দেওয়ার পর কচুয়ার ছেলে-মেয়েরা যেনো লেখাপড়া করে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,প্রকৌশলী হতে পারে সেই জন্য আমি চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কলেজ আমার উপজেলা নিয়ে আসছি। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কচুয়ার প্রতিটি বাড়ি ও ঘরে ইঞ্জিনিয়ার,প্রকৌশলী ও ডাক্তার তৈরি হচ্ছে।
ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সারফিন হোসাইন ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো:হাবিবুন নবী সুমনের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক শাহজালাল প্রধান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ খায়রুল আবেদীন স্বপন,সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী, আমিনুল ইসলাম মালেক চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ এলাহী সুভাষ, কচুয়া উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়াজী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহবুব আলম মৃধা, নওশের আলম, মনোরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লুৎফর রহমান,কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউল করিম,বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম তরিক,পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কমিশনার, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মো.মিজান মোল্লা,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান মুজিব, সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল ছাত্তার,উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ কবির হোসেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুস সালাম শান্ত, পৌরসভা যুবদলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার উল্লাহ ফরহাদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাসুদ রানা,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন আবেগ, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রনি, সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ ছাত্তার পাঠান,পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি শরিফুল ইসলাম জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মহিন খান।
বক্তব্য রাখেন,ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মাস্টার,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন,প্রচার সম্পাদক জোবায়ের হোসেন রাসেল, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,ইউনিয়ন ছাত্রদলের সমন্বয়ক জুয়েল হোসেন, ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেন প্রমুখ।