শাহরাস্তিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহরাস্তি উপজেলা ও পৌরসভার উদ্যোগে জুলাই ছাত্র – জনতার গনঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বিশাল গনমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৫ আগষ্ট মঙ্গলবার উপজেলার মেহের কালীবাড়ি মাঠ থেকে বিশাল এক বর্নাঢ্য গনমিছিল উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর জেলা সহ সেক্রেটারি শাহরাস্তি – হাজীগঞ্জ চাঁদপুর – ৫ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে জামায়াতে ইসলামী সহ এ দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা, গুম,খুন, লুটতরাজ শুরু করে দিয়েছিল। তার প্রক্ষিতে সাধিত হয় জুলাই বিপ্লব। জুলাই বিপ্লব সাধারন ছাত্রজনতার জীবনের বিনিময় আমরা পেয়েছি।
এই জুলাই বিপ্লব অক্ষুণ্ণ রাখতে জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কোনো কোনো দলের কোন কোন নেতা জামায়াতে ইসলামীর আভ্যন্তরিন বিষয় যেমন বায়তুলমাল,নফল নামাজ,তাহাজ্জুদ নামাজ সম্মন্ধে প্রশ্ন তুলছেন। আমরা ঐ দল ও নেতার নাম ধরে কথা বলতে চাই না। জামায়াত যেই গতিতে আগাচ্ছে, সেই গতিতেই আগাবে। তাঁরা ভুলে গেছেন অতীতের একটা ক্ষমতাসিন শক্তি জামায়াতের পিছনে লেগে জামায়াতের আভ্যন্তরিন বিষয়ে নাক গলিয়ে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। পালিয়ে প্রান রক্ষা করেছে স্বৈরাচার। এদেশের মানুষ আর স্বৈরাচার দেখতে চায় না। জামায়াতের বিরোধিতা করে যারা স্লোগান দিচ্ছেন, তারা দলীয় পদ হারাবেন। তাদেরকে দল থেকেও মানুষ প্রত্যাক্ষান করবে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারো বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে লাভ নাই, নিজের স্লোগান নিয়ে নিজে এগিয়ে যান।
আপনারা অতীতে ধৈর্য্য ধারণ করছেন, আরো ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ করছি। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনের বাংলাদেশ,ইসলামের বাংলাদেশ, জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। শাহরাস্তি পৌর আমীর মাওঃ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় ও উপজেলা আমীর মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর বাদশা ফয়সাল, সেক্রেটারি প্রভাষক মাওঃ মাঈন উদ্দিন, পৌর নায়েবে আমীর মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি প্রভাষক মাওঃ আলমগীর হোসেন।এছাড়াও আরো উপস্হিত ছিলেন উপজেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে মাওঃ মকবুল হোসাইন, ডাঃ আবুল বাশার, আব্দুল আউয়াল, মাষ্টার সালাউদ্দিন গাজী, ডাঃ জাকির হোসেন, মাওঃ জালাল হোসাইন, মাওঃ মাছুম বিল্লাহ, শাহ আলম ভূঁইয়া, প্রভাষক মাওঃ আমিনুল ইসলাম, হাঃ মাওঃ সাব্বির আহমেদ ওসমানী, পারভেজ হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওঃ ওবায়েদুল হক, সহকারী অধ্যাপক মাওঃ হেদায়েত উল্লাহ, মাওঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ, মাওঃ রুহুল কুদ্দুস, ইকবাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম মেম্বার, মাওঃ সাইফুল ইসলাম, মাওঃ মন্জুর হোসাইন, মাওঃ মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওঃ মাহফুজুর রহমান বুলবুলি, জিহাদুল ইসলাম শামীম, শিবির নেতা আক্তার হোসেন শিহাব, সাইফুল ইসলাম, কাউছার আলমসহ ওলামা, যুব, শ্রমিক, ছাত্রসংগঠনের উপজেলা, পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন শাখার নেতৃবৃন্দ।